Sunday, June 27, 2010
Friday, June 25, 2010
Thursday, June 24, 2010
Tuesday, June 22, 2010
QUOTATION
If men are more or less deceived on the subject of women, it is because
They forget that they & women do not speak altogether the same language.
God give us men. A time like this demands, strong minds, great hearts,
True faith and ready hands! Men whom the lust of office does not kill,
Men who possess opinions and a will, men who love honour,
Men who can not lie.
Men work and think but women feel
When a man fronts catastrophe on the road, he looks in his purse
but a woman look in her mirror.
It is because of men that women dislike each other
The history of mankind is little else than a narrative of designs which have
Failed, and hopes that have been disappointed.
What the superior man seeks is in himself : what the small man seeks in the others.
Man is the only animal that laughs and weeps ; for he is the only animal that struck
with the difference between what things are, and what they ought to be.
Man is the only animal that spits, play games, makes bargains, eat when not
Hungry and drink without thirst and makes love at all seasons.
A husband is left of a lover, after the nerve has been extracted.
All women become like their mothers, that is the tragedy. No man does. That’s his.
No man’s knowledge can go beyond his experience.
All animals , except man, knows that the principle business of life is to enjoy it.
The fundamental defects of fathers, in our competitive society, is that the want
Their children to be a credit to them.
If men are more or less deceived on the subject of women, it is because
They forget that they & women do not speak altogether the same language.
God give us men. A time like this demands, strong minds, great hearts,
True faith and ready hands! Men whom the lust of office does not kill,
Men who possess opinions and a will, men who love honour,
Men who can not lie.
Men work and think but women feel
When a man fronts catastrophe on the road, he looks in his purse
but a woman look in her mirror.
It is because of men that women dislike each other
The history of mankind is little else than a narrative of designs which have
Failed, and hopes that have been disappointed.
What the superior man seeks is in himself : what the small man seeks in the others.
Man is the only animal that laughs and weeps ; for he is the only animal that struck
with the difference between what things are, and what they ought to be.
Man is the only animal that spits, play games, makes bargains, eat when not
Hungry and drink without thirst and makes love at all seasons.
A husband is left of a lover, after the nerve has been extracted.
All women become like their mothers, that is the tragedy. No man does. That’s his.
No man’s knowledge can go beyond his experience.
All animals , except man, knows that the principle business of life is to enjoy it.
The fundamental defects of fathers, in our competitive society, is that the want
Their children to be a credit to them.
Saturday, June 12, 2010
Wednesday, June 9, 2010
দেহ-মন
শরীরের নিজস্ব কোন ভাষা নেই,
নেই শব্দায়িত ছন্দ- যা দিয়ে নিজেই
প্রকাশিত হতে পারে এবং বিকশিত ।
অনুচ্চারিত জড় অভিব্যক্তি ধার করা
মননশীল ভাষায় প্রতিফলিত হয়, যেটা
মূখ্যতঃ মনেরই ক্রিয়া। দেহের আড়ালে
রহস্যময়ী মনের যত ছলা কলা । তবু কোথাও
যেন আছে একটা সুক্ষ্ম অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র-
দেহ ও মনের ভূমিকা বদলের খেলা চলে অবিরত।
কে কাকে প্রকাশ করবে- নিজেকে ঢেকে-
তারই প্রতিযোগীতায় মত্ত দোঁহে, সারাক্ষন ।
শরীর ভালো নেই না কি মন
এই দ্বন্ধে দুজনেই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে
আর তাই প্রথম কথাটি থেকে যায় চির-অব্যক্ত।
নেই শব্দায়িত ছন্দ- যা দিয়ে নিজেই
প্রকাশিত হতে পারে এবং বিকশিত ।
অনুচ্চারিত জড় অভিব্যক্তি ধার করা
মননশীল ভাষায় প্রতিফলিত হয়, যেটা
মূখ্যতঃ মনেরই ক্রিয়া। দেহের আড়ালে
রহস্যময়ী মনের যত ছলা কলা । তবু কোথাও
যেন আছে একটা সুক্ষ্ম অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র-
দেহ ও মনের ভূমিকা বদলের খেলা চলে অবিরত।
কে কাকে প্রকাশ করবে- নিজেকে ঢেকে-
তারই প্রতিযোগীতায় মত্ত দোঁহে, সারাক্ষন ।
শরীর ভালো নেই না কি মন
এই দ্বন্ধে দুজনেই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে
আর তাই প্রথম কথাটি থেকে যায় চির-অব্যক্ত।
শব্দ
সময় কখনও সখনও প্রতিপক্ষ হিসাবে
হাজির করে নিজের সামনে ,যখন কৈফিয়তের
হাজার শব্দ হারিয়ে নৈশব্দের ঘুরনিবরতে ডুবে যাই ।
চেনা জানা শব্দগুলো মনে হয়
অকেজো নিস্প্রান পাথরের নুড়ি , সেতু বন্ধে
অহেতুক জঞ্জাল ।সোনালী নীরবতা বাগ্ময় হয়ে ওঠে
চোখের তারায় । উচ্চারিত শব্দে সত্যি কি কোন অরথ আছে
আছে শক্তি ?নাকি প্রান সঞ্চার করি উচ্ছ্বাস আবেগ অনুভূতি দিয়ে
যা তিলে তিলে গড়ে ওঠে প্রাত্যহিকতায় ।
ভীষন অচেনা মনে হয় সীমাবদ্ধ শব্দ মালাকে,
বন্দীত্বের বেদনা তারও হৃদয়ে ।
৮/৭/১৯৮৬
হাজির করে নিজের সামনে ,যখন কৈফিয়তের
হাজার শব্দ হারিয়ে নৈশব্দের ঘুরনিবরতে ডুবে যাই ।
চেনা জানা শব্দগুলো মনে হয়
অকেজো নিস্প্রান পাথরের নুড়ি , সেতু বন্ধে
অহেতুক জঞ্জাল ।সোনালী নীরবতা বাগ্ময় হয়ে ওঠে
চোখের তারায় । উচ্চারিত শব্দে সত্যি কি কোন অরথ আছে
আছে শক্তি ?নাকি প্রান সঞ্চার করি উচ্ছ্বাস আবেগ অনুভূতি দিয়ে
যা তিলে তিলে গড়ে ওঠে প্রাত্যহিকতায় ।
ভীষন অচেনা মনে হয় সীমাবদ্ধ শব্দ মালাকে,
বন্দীত্বের বেদনা তারও হৃদয়ে ।
৮/৭/১৯৮৬
সাদা-কালো
শোক বরনহীন সাদা অথবা বরনালী কালো-
এ দ্বন্ধ মেটেনি আজো । রঙের প্রতীক্ষায়
জীবনটাকে সাদা ইজেলের মত টাঙ্গিয়ে রাখার নাম বিবাহ
আর মৃত্যুর পরেও অনন্ত অভিসারী
আত্মার প্রতীকও তাই শূভ্র।
সম্ভাবনার অবকাশ শূন্যতার বিস্তৃতি ঘটায়।
নিজেরই বুকের পাশে যে অভিজ্ঞান পত্র
লকেটের মত ঝুলিয়ে রাখি, সে কি আমারই
প্রতীক অথবা অন্যের ? বস্তুত আমরা কেউ সাদা স্লেট নই-
অসংখ্য আঁকি বুঁকি কাঁটা বিবরন কাগজ-
অতীতকে বরতমানের আলোয় দেখে
ভবিষ্যতের গতি নিরধারন করতে পারি,
কিন্তু অতীতকে বিচার করতে পারিনা-
যেহেতু তা কোন মূল্যেই পরিবরতন হয় না ।
এ দ্বন্ধ মেটেনি আজো । রঙের প্রতীক্ষায়
জীবনটাকে সাদা ইজেলের মত টাঙ্গিয়ে রাখার নাম বিবাহ
আর মৃত্যুর পরেও অনন্ত অভিসারী
আত্মার প্রতীকও তাই শূভ্র।
সম্ভাবনার অবকাশ শূন্যতার বিস্তৃতি ঘটায়।
নিজেরই বুকের পাশে যে অভিজ্ঞান পত্র
লকেটের মত ঝুলিয়ে রাখি, সে কি আমারই
প্রতীক অথবা অন্যের ? বস্তুত আমরা কেউ সাদা স্লেট নই-
অসংখ্য আঁকি বুঁকি কাঁটা বিবরন কাগজ-
অতীতকে বরতমানের আলোয় দেখে
ভবিষ্যতের গতি নিরধারন করতে পারি,
কিন্তু অতীতকে বিচার করতে পারিনা-
যেহেতু তা কোন মূল্যেই পরিবরতন হয় না ।
ক্লান্ত বিকেলের বিধবা- রদে পিঠ দিয়ে-
মনে হয় সেই আমি আজ আমি নই ।
চেনা জানা পথের ধূলোয় চঞ্চল সে পথিকের
পায়ের চিহ্ন অবলুপ্ত সময়ের পলেস্তরায় ।
সেই বকুল, শিউল্, অপরাজিতা, লুন্ঠিতা ভুঁইচাঁপা,
ভীরু লজ্জাবতী- কেউ মনে রাখে নি আমার অবুঝ
সবুজ মাতলামী।সেই অযত্নে সগরবে বেড়ে ওঠা হিংসুক
কাঁটা-নটে আজ দন্তহীন পলিত কেশীর মত
এক পাশে আজো পড়ে আছে- স্মৃতির রকমারি পশরা নিয়ে।
তার বুকের পাশে পিয়ার পায়ের সেই রক্তের দাগ
আজও লেগে আছে – যেমন মিশে আছে
জীবন বীনায় তার শ্মশানের স্মৃতি ।
১/৬/১৯৮৬
মনে হয় সেই আমি আজ আমি নই ।
চেনা জানা পথের ধূলোয় চঞ্চল সে পথিকের
পায়ের চিহ্ন অবলুপ্ত সময়ের পলেস্তরায় ।
সেই বকুল, শিউল্, অপরাজিতা, লুন্ঠিতা ভুঁইচাঁপা,
ভীরু লজ্জাবতী- কেউ মনে রাখে নি আমার অবুঝ
সবুজ মাতলামী।সেই অযত্নে সগরবে বেড়ে ওঠা হিংসুক
কাঁটা-নটে আজ দন্তহীন পলিত কেশীর মত
এক পাশে আজো পড়ে আছে- স্মৃতির রকমারি পশরা নিয়ে।
তার বুকের পাশে পিয়ার পায়ের সেই রক্তের দাগ
আজও লেগে আছে – যেমন মিশে আছে
জীবন বীনায় তার শ্মশানের স্মৃতি ।
১/৬/১৯৮৬
কাঁটা নটে
ক্লান্ত বিকেলের বিধবা- রদে পিঠ দিয়ে-
মনে হয় সেই আমি আজ আমি নই ।
চেনা জানা পথের ধূলোয় চঞ্চল সে পথিকের
পায়ের চিহ্ন অবলুপ্ত সময়ের পলেস্তরায় ।
সেই বকুল, শিউল্, অপরাজিতা, লুন্ঠিতা ভুঁইচাঁপা,
ভীরু লজ্জাবতী- কেউ মনে রাখে নি আমার অবুঝ
সবুজ মাতলামী।সেই অযত্নে সগরবে বেড়ে ওঠা হিংসুক
কাঁটা-নটে আজ দন্তহীন পলিত কেশীর মত
এক পাশে আজো পড়ে আছে- স্মৃতির রকমারি পশরা নিয়ে।
তার বুকের পাশে পিয়ার পায়ের সেই রক্তের দাগ
আজও লেগে আছে – যেমন মিশে আছে
জীবন বীনায় তার শ্মশানের স্মৃতি ।
১/৬/১৯৮৬
মনে হয় সেই আমি আজ আমি নই ।
চেনা জানা পথের ধূলোয় চঞ্চল সে পথিকের
পায়ের চিহ্ন অবলুপ্ত সময়ের পলেস্তরায় ।
সেই বকুল, শিউল্, অপরাজিতা, লুন্ঠিতা ভুঁইচাঁপা,
ভীরু লজ্জাবতী- কেউ মনে রাখে নি আমার অবুঝ
সবুজ মাতলামী।সেই অযত্নে সগরবে বেড়ে ওঠা হিংসুক
কাঁটা-নটে আজ দন্তহীন পলিত কেশীর মত
এক পাশে আজো পড়ে আছে- স্মৃতির রকমারি পশরা নিয়ে।
তার বুকের পাশে পিয়ার পায়ের সেই রক্তের দাগ
আজও লেগে আছে – যেমন মিশে আছে
জীবন বীনায় তার শ্মশানের স্মৃতি ।
১/৬/১৯৮৬
সময়
সময় দ্বিচারিনী স্বৈরিনীর মত
ভাবীকালের সোনালী স্বপ্ন বুনে ঢলে পড়ে
অতীতের কোলে। তার নিরলজ্জ আকরন হাসির ছটায়
বিশের ধোঁয়া জমে অনাগতের বুকে- অন্ধ আক্রোশে
কেঁপে ওঠে হাল্কা পলকা শরীর- ক্লেদাক্ত স্বেদ বিন্দু
ফুটে ওঠে নক্ষত্রের মত আকাশ- গহ্বরে ।
বরতমানের কুটিল ভ্রুকুটি উপেক্ষা করা দুঃসাধ্য ।
বাধ্য বিনীত সম্মোহিতের মত – দুরনিবার সে টানে
সে ও কাঁচ পোকা হয়ে যায়- দ্বিতীয় সত্তার ভ্রুন বেড়ে ওঠে
আপন জঠোরে। ভূমিকা বদলায় প্রতি অঙ্কে-
সহজ সরল রীতিতে ।স্মৃতি-সত্তা – ভবিষ্যতের
রূপোলী শিকলে সময় অসহায় স্বেচ্ছাবন্দী ।
সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বিষাদ সব একাকার-
এক একটা বিন্দু পতনে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৬/১৯৮৬
ভাবীকালের সোনালী স্বপ্ন বুনে ঢলে পড়ে
অতীতের কোলে। তার নিরলজ্জ আকরন হাসির ছটায়
বিশের ধোঁয়া জমে অনাগতের বুকে- অন্ধ আক্রোশে
কেঁপে ওঠে হাল্কা পলকা শরীর- ক্লেদাক্ত স্বেদ বিন্দু
ফুটে ওঠে নক্ষত্রের মত আকাশ- গহ্বরে ।
বরতমানের কুটিল ভ্রুকুটি উপেক্ষা করা দুঃসাধ্য ।
বাধ্য বিনীত সম্মোহিতের মত – দুরনিবার সে টানে
সে ও কাঁচ পোকা হয়ে যায়- দ্বিতীয় সত্তার ভ্রুন বেড়ে ওঠে
আপন জঠোরে। ভূমিকা বদলায় প্রতি অঙ্কে-
সহজ সরল রীতিতে ।স্মৃতি-সত্তা – ভবিষ্যতের
রূপোলী শিকলে সময় অসহায় স্বেচ্ছাবন্দী ।
সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বিষাদ সব একাকার-
এক একটা বিন্দু পতনে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৬/১৯৮৬
Tuesday, June 8, 2010
প্রথম প্রেম
কবে সেই কুমারী বেলায়, না-ফোঁটা গোলাপ কুঁড়ি আঁকা,
বাসন্তী রঙ্গের শাড়ী, দিয়েছিলাম পরম আদরে,
আর তুমি প্রজাপতির মত উড়েছিলে সবুজ আকাশে।
তারপর অনেকের দেওয়া রঙ্গে ছোঁপানো সে শাড়ীর কথা
আর মনে নেই- ফুটন্ত যৌবনে।
অনাদরে একদিন ফেলে দিলে আস্তাকুঁড়ে ।
আমি পরম যতনে রেখেছি তুলে স্মৃতির ঝাঁপিতে।
মনে নেই কোন কথা তোমার আজ-চিনতেও পারোনি তাকে।
সে সব অপ্রাসঙ্গিকতমার কাছে- অকারন নস্টালজিয়ার মত।
অথচ আমার স্মৃতির ঝাপিতে সযত্নে রেখেছি সাজিয়ে-
প্রথম প্রেমের মত ।
কলকাতা, ১।৬।২০১০
বাসন্তী রঙ্গের শাড়ী, দিয়েছিলাম পরম আদরে,
আর তুমি প্রজাপতির মত উড়েছিলে সবুজ আকাশে।
তারপর অনেকের দেওয়া রঙ্গে ছোঁপানো সে শাড়ীর কথা
আর মনে নেই- ফুটন্ত যৌবনে।
অনাদরে একদিন ফেলে দিলে আস্তাকুঁড়ে ।
আমি পরম যতনে রেখেছি তুলে স্মৃতির ঝাঁপিতে।
মনে নেই কোন কথা তোমার আজ-চিনতেও পারোনি তাকে।
সে সব অপ্রাসঙ্গিকতমার কাছে- অকারন নস্টালজিয়ার মত।
অথচ আমার স্মৃতির ঝাপিতে সযত্নে রেখেছি সাজিয়ে-
প্রথম প্রেমের মত ।
কলকাতা, ১।৬।২০১০
সম্ভাবনা
সুখ দুঃখ সব ব্যক্তিক অনুভুতি,
পাত্র পাত্রী সব কিছু উপল্কখ্য মাত্র ।
সবই যা তেমনই আছে- আমার কল্পনা শুধু
নিজেকে হাসায় কাঁদায় । উপাদান দায়ী নয়
নিজের ভাবনা ছাড়া ।
“দোষী একেলা আমি “-এমনই উপলব্ধির বীজ,
যদি অঙ্কুরিত হয় হৃদয় গহনে ,পরিবরতনের ফল্গু ধারা
ফুটে ওঠে-
সৃস্টি হয় নব জীবন ধারা। এই বিশ্বাসের বীজ নব সম্ভাবনার
ইশারা জাগায়।
নিউ দিল্লী , ১৫/৫/২০১০
পাত্র পাত্রী সব কিছু উপল্কখ্য মাত্র ।
সবই যা তেমনই আছে- আমার কল্পনা শুধু
নিজেকে হাসায় কাঁদায় । উপাদান দায়ী নয়
নিজের ভাবনা ছাড়া ।
“দোষী একেলা আমি “-এমনই উপলব্ধির বীজ,
যদি অঙ্কুরিত হয় হৃদয় গহনে ,পরিবরতনের ফল্গু ধারা
ফুটে ওঠে-
সৃস্টি হয় নব জীবন ধারা। এই বিশ্বাসের বীজ নব সম্ভাবনার
ইশারা জাগায়।
নিউ দিল্লী , ১৫/৫/২০১০
বাসর
আকাশ ঈগলুতে বাসর গড়ি
প্রেমের পশমী শয্যায় যথেচ্ছ বিহার,
একই বৃত্ত ভাঙ্গা গড়া হাজার বার ,
অবগাহন অধরের হাসি-ঝরনায়
নিঃশব্দ তন্ময় আবেশে ।
গরবিনী হাস্নুহানা আর এক নিরমম ব্যাধ-
ব্যস আমার ক্লিস্ট কল্পনায় আর সব
কুয়াশায় ঢাকা অচীন পাহাড় ।
যত দূরে যাই দিগন্তের প্রাকারে
মোর ভাবনার অবুঝ শিশুরা মাথা কটে
বোবা কান্নায়। স্মৃতি- সত্তা- ভবিষ্যত ঘিরে
এক সে সুরের অনুরনন...
মাল। ১২/৩/১৯৮৩
প্রেমের পশমী শয্যায় যথেচ্ছ বিহার,
একই বৃত্ত ভাঙ্গা গড়া হাজার বার ,
অবগাহন অধরের হাসি-ঝরনায়
নিঃশব্দ তন্ময় আবেশে ।
গরবিনী হাস্নুহানা আর এক নিরমম ব্যাধ-
ব্যস আমার ক্লিস্ট কল্পনায় আর সব
কুয়াশায় ঢাকা অচীন পাহাড় ।
যত দূরে যাই দিগন্তের প্রাকারে
মোর ভাবনার অবুঝ শিশুরা মাথা কটে
বোবা কান্নায়। স্মৃতি- সত্তা- ভবিষ্যত ঘিরে
এক সে সুরের অনুরনন...
মাল। ১২/৩/১৯৮৩
Monday, June 7, 2010
অনুভূতি
কিছু কিছু শব্দ আছে-যাকে পরম মমতায় লক্ষীর ঝাঁপিতে
বব্ধ করে রাখা উচিত । শ্বাশত সত্যের মত অমূল্য অক্ষয়,
ব্যাখ্যা যুক্তি তাকে সংকীরন করে, হারায় সৌ্নদ্রয্য ।
শুধু অনুভবে তার গভীরতা উপলব্ধি হয়,যা হৃদয়ের পলিতে বেড়ে
ওঠে।বাইরের প্রকৃ্তি তার অন্তরায় স্বাভাবিক বৃ্দধিতে ।
যুক্তিহীন অন্তসা্রশুন্য ভাবাবেগের মূল্য বাস্তব জীবনে
পরিত্যক্ত এঁটো ছেঁড়া কলাপাতার মত অথচ জীবন
ওদের কাঁধেই ভর দিয়ে ছুটে চলে তেজী ঘোড়ার মত ।
মাল। ৮/৪/১৯৮৩
বব্ধ করে রাখা উচিত । শ্বাশত সত্যের মত অমূল্য অক্ষয়,
ব্যাখ্যা যুক্তি তাকে সংকীরন করে, হারায় সৌ্নদ্রয্য ।
শুধু অনুভবে তার গভীরতা উপলব্ধি হয়,যা হৃদয়ের পলিতে বেড়ে
ওঠে।বাইরের প্রকৃ্তি তার অন্তরায় স্বাভাবিক বৃ্দধিতে ।
যুক্তিহীন অন্তসা্রশুন্য ভাবাবেগের মূল্য বাস্তব জীবনে
পরিত্যক্ত এঁটো ছেঁড়া কলাপাতার মত অথচ জীবন
ওদের কাঁধেই ভর দিয়ে ছুটে চলে তেজী ঘোড়ার মত ।
মাল। ৮/৪/১৯৮৩
সময়
ছোট ছোট ঢেউএর মত প্রতিটি মুহূরত
ঢলে পড়ে অতীতের কোলে অথচ
বরতমানের অস্থি মজ্জা অনুভূতি দি গড়া
স্মৃতিকে কিছুতেই বদলানো যায় না ,
কেনা যায় না কোন মূল্য দিয়ে ।
অনাদরে ভরে যাওয়া আগাছার মত,
স্মৃতির জঙ্গলে নিরবাসনে যাই, কৃপন সময়
যখন নিরবিকার ঔদাসীন্যে সমাহিত ।
চুরি করে ভবিষ্যতের প্রসারিত সীমা হতে
কিছটা সময় ,
ডুবে যাই করমহীন অতীতের মাঝে,যেথায়
জীবন খুঁজি মড়া হাড়ে ।
মাল, ৮/৪/১৯৮৩
ঢলে পড়ে অতীতের কোলে অথচ
বরতমানের অস্থি মজ্জা অনুভূতি দি গড়া
স্মৃতিকে কিছুতেই বদলানো যায় না ,
কেনা যায় না কোন মূল্য দিয়ে ।
অনাদরে ভরে যাওয়া আগাছার মত,
স্মৃতির জঙ্গলে নিরবাসনে যাই, কৃপন সময়
যখন নিরবিকার ঔদাসীন্যে সমাহিত ।
চুরি করে ভবিষ্যতের প্রসারিত সীমা হতে
কিছটা সময় ,
ডুবে যাই করমহীন অতীতের মাঝে,যেথায়
জীবন খুঁজি মড়া হাড়ে ।
মাল, ৮/৪/১৯৮৩
শব্দ
শব্দের আঁচড়ে, যে নক্সা ফোটে
কাগজের বুকে, হয়তো বা অবিকল
নিস্প্রান কোন প্রতিমূরতি পৃথিবীর পটে।
খেয়ালী স্বপ্ন অথবা কুল্পনার ক্ষনিক ফসল,
অলস ইচ্ছার কোন অসহায় শিকার ।নিরবাক
প্রতিক্রিয়াহীন সেই ছবি নিয়ে কি করবো ?
হৃদয়ের উত্তাপ কোথায়, কোথা সেই ভাষার চাতুরী ?
জীবনের স্পন্দন নেই দেহের সীমান্তে ।তবু শব্দের মাঝে
খুঁজি ভাষাময়ীর অনন্ত আভাষ ।
মাল , ৬/৪/১৯৮৩
কাগজের বুকে, হয়তো বা অবিকল
নিস্প্রান কোন প্রতিমূরতি পৃথিবীর পটে।
খেয়ালী স্বপ্ন অথবা কুল্পনার ক্ষনিক ফসল,
অলস ইচ্ছার কোন অসহায় শিকার ।নিরবাক
প্রতিক্রিয়াহীন সেই ছবি নিয়ে কি করবো ?
হৃদয়ের উত্তাপ কোথায়, কোথা সেই ভাষার চাতুরী ?
জীবনের স্পন্দন নেই দেহের সীমান্তে ।তবু শব্দের মাঝে
খুঁজি ভাষাময়ীর অনন্ত আভাষ ।
মাল , ৬/৪/১৯৮৩
যেমন আছে
যাযেমন আছে তাকে সে ভাবেই থাকতে দাও ।
প্রাত্যহিকতার ক্লেদাক্ত একঘেয়েমী থাকলেও,
সে আপবে খোলা আকাশ- একটা আস্ত জীবন।
চিন্তার অন্ধকারায় চীনে ভাসে সাজানো ফুলের মত
সজীব সৌ্নদরয্য হারাবে । ব্যাখ্যার প্রাচীর দিয়ে
ভাবনাকে বাঁশতে চেও না, ডানা কাটা ফড়িঙ্গের
চিতকারে ডুবে যাবে ঘর ।
নিরবিরোধ সরল কল্পনায় গভীর উচ্ছ্বাসের
আবীরে রঙ হোক আরো গাঢ় – সুন্দর।
মাল, ২৫/৩/১৯৮৩
প্রাত্যহিকতার ক্লেদাক্ত একঘেয়েমী থাকলেও,
সে আপবে খোলা আকাশ- একটা আস্ত জীবন।
চিন্তার অন্ধকারায় চীনে ভাসে সাজানো ফুলের মত
সজীব সৌ্নদরয্য হারাবে । ব্যাখ্যার প্রাচীর দিয়ে
ভাবনাকে বাঁশতে চেও না, ডানা কাটা ফড়িঙ্গের
চিতকারে ডুবে যাবে ঘর ।
নিরবিরোধ সরল কল্পনায় গভীর উচ্ছ্বাসের
আবীরে রঙ হোক আরো গাঢ় – সুন্দর।
মাল, ২৫/৩/১৯৮৩
Sunday, June 6, 2010
প্রতারনা
অনেক মূল্য দিয়ে বন্ধু ! কিনতে হলো
প্রতারনার জ্বলন্ত অভিজ্ঞতা।এক বুক অনাবিল স্নেহ ভালবাসা
অবুঝ সবুজ সরলতা ।বিশ্বাসের খোলা দরজা দিয়ে স্বপ্নের
অবধি বিচরন, প্রান খোলা হাসি আর কোলাহলে বসন্তের
নিত্য আবাহন । উদারতায় সঞ্চিত সম্পদ সব উতসবের
নৈবেদ্য হয়।প্রতিশ্রুতির রঙ্গিন ফুলে বন্ধু সুব কিছু করেছ
ক্রয় । এপারের যত সুখ যত ধন রাশি বিজয়ী বীরের
পিছনে , ওপারের শূন্য গোলায় জমে অনায়াস যতনে।
রিক্ততার বিষাদ কালো মেঝে আমার আকাশ ঘর
ডুবে গেছে সেই দিন ক্লান্ত বিকাল। প্রশস্ত পথের উপর
তোমার সন্ধিগ্ধ ভীরু পদ ভারে হয়নি পিস্ট জরজর।
বাতাসের সুর বীনায় ওঠে নি বানীর সদা নিরঝর।
ড্রাগনের নিশ্বাসে তপ্ত বাতাসে সন্দেহের কোলা কুলি
উদাসী উপোসী শুকনো হিয়ায় চেয়ে আছি সব ভুলি।
আমার দুরবলতা,স্নেহের ভিখারী, প্রেমের কাছে পরাজিত,
রঙের ছোঁয়া পেয়ে কল্পনা ফানুস, আকাশে ডানা মেলে দিত।
তাকেই সম্বল করে শানিত বিষের ছুরি আমুল বিঁধুয়ে বুকে,
ক্রুর শয়তান সুলতানী হাসি আজ জাগে তোর মুখে।
এ নহে শেষ সমর আরো কত আছে বাকী।
অলক্ষে জাগ্রত চোখ কভূ দিতে মিছে ফাঁকি
পারিবে না, পারে নাই কেহ, সেই তো স্বান্ত্বনা।
হয় তো সে বিচার মঞ্চে আমি রবো না
আমার ঘৃ্নার মাঝে ক্ষমার বানী উঠুক ফুতকারী
“অবুঝ শৃংখলিত এ পাতকের লোলুপ ক্ষুধারই
হোক অবসান” পৃথিবী হেসে উঠুক নিরমল আনন্দে
পাখীর কুজনে আর ফুলের সুবাসে মত্ত সকাল সন্ধ্যে।
ওদলাবারি, ২১/৩/১৯৮৩
প্রতারনার জ্বলন্ত অভিজ্ঞতা।এক বুক অনাবিল স্নেহ ভালবাসা
অবুঝ সবুজ সরলতা ।বিশ্বাসের খোলা দরজা দিয়ে স্বপ্নের
অবধি বিচরন, প্রান খোলা হাসি আর কোলাহলে বসন্তের
নিত্য আবাহন । উদারতায় সঞ্চিত সম্পদ সব উতসবের
নৈবেদ্য হয়।প্রতিশ্রুতির রঙ্গিন ফুলে বন্ধু সুব কিছু করেছ
ক্রয় । এপারের যত সুখ যত ধন রাশি বিজয়ী বীরের
পিছনে , ওপারের শূন্য গোলায় জমে অনায়াস যতনে।
রিক্ততার বিষাদ কালো মেঝে আমার আকাশ ঘর
ডুবে গেছে সেই দিন ক্লান্ত বিকাল। প্রশস্ত পথের উপর
তোমার সন্ধিগ্ধ ভীরু পদ ভারে হয়নি পিস্ট জরজর।
বাতাসের সুর বীনায় ওঠে নি বানীর সদা নিরঝর।
ড্রাগনের নিশ্বাসে তপ্ত বাতাসে সন্দেহের কোলা কুলি
উদাসী উপোসী শুকনো হিয়ায় চেয়ে আছি সব ভুলি।
আমার দুরবলতা,স্নেহের ভিখারী, প্রেমের কাছে পরাজিত,
রঙের ছোঁয়া পেয়ে কল্পনা ফানুস, আকাশে ডানা মেলে দিত।
তাকেই সম্বল করে শানিত বিষের ছুরি আমুল বিঁধুয়ে বুকে,
ক্রুর শয়তান সুলতানী হাসি আজ জাগে তোর মুখে।
এ নহে শেষ সমর আরো কত আছে বাকী।
অলক্ষে জাগ্রত চোখ কভূ দিতে মিছে ফাঁকি
পারিবে না, পারে নাই কেহ, সেই তো স্বান্ত্বনা।
হয় তো সে বিচার মঞ্চে আমি রবো না
আমার ঘৃ্নার মাঝে ক্ষমার বানী উঠুক ফুতকারী
“অবুঝ শৃংখলিত এ পাতকের লোলুপ ক্ষুধারই
হোক অবসান” পৃথিবী হেসে উঠুক নিরমল আনন্দে
পাখীর কুজনে আর ফুলের সুবাসে মত্ত সকাল সন্ধ্যে।
ওদলাবারি, ২১/৩/১৯৮৩
বাঁচা
বাঁচতে বাঁচতে বাঁচার সাধ শুন্যে মিলায়।
জীবন দেহের ঝোলায় খুঁড়িয়ে চলে।
দুঃখে দুঃখে দুঃখ রঙ বদলায়,সুখ দুঃখের
কাঁধে ঘুরে বেড়ায়। হঠাত মরনের মাঝে একটা
রহস্যময়তার জাল বিছানো থাকে,কল্পনা প্রশস্ত
ক্ষেত্র পায়।অথচ জানি জন্ম থেকেই তার পানে
নিরন্তর চলে অভিসার। দেহের মৃত্যুর জন্য
অপেক্ষায় থাকা-যদি মন তার রঙ হারায়।
পূরানো শব নিয়ে জীবনের মিছিল শেষে
টুপ করে ঝরে পড়া বাস্তব শ্মশানে ।
মাল। ১৮/৩/১৯৮৩
জীবন দেহের ঝোলায় খুঁড়িয়ে চলে।
দুঃখে দুঃখে দুঃখ রঙ বদলায়,সুখ দুঃখের
কাঁধে ঘুরে বেড়ায়। হঠাত মরনের মাঝে একটা
রহস্যময়তার জাল বিছানো থাকে,কল্পনা প্রশস্ত
ক্ষেত্র পায়।অথচ জানি জন্ম থেকেই তার পানে
নিরন্তর চলে অভিসার। দেহের মৃত্যুর জন্য
অপেক্ষায় থাকা-যদি মন তার রঙ হারায়।
পূরানো শব নিয়ে জীবনের মিছিল শেষে
টুপ করে ঝরে পড়া বাস্তব শ্মশানে ।
মাল। ১৮/৩/১৯৮৩
আমিও ছিলাম
আমার ঝাঁকার মাঝে ছোট বড় অনেক ঘটের
ঠোকা ঠুকি অবিরত, দূরন্ত ঘুরনি হাওয়ায় রূপের
অহংকারে। ঘুন ধরা ভাঙ্গা ফুটা বিকলাঙ্গ বিকৃ্ত
অবয়ব থেকে বিষাক্ত ভাইরাসের বালি ঝরে ঝরে
পড়ে-আমার স্নেহ প্রেম বাসনা আর অহমিকা
গলে গলে যায়। একদিন সব বোঝা পথের ধূলায়
ছড়ি্যে দিয়ে পড়ে থাকি ভাগাড়ের নিরজনে,
রঙ্গিন আক্ষরের লকেট বুকে সেটে “আমিও ছিলাম”।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
ঠোকা ঠুকি অবিরত, দূরন্ত ঘুরনি হাওয়ায় রূপের
অহংকারে। ঘুন ধরা ভাঙ্গা ফুটা বিকলাঙ্গ বিকৃ্ত
অবয়ব থেকে বিষাক্ত ভাইরাসের বালি ঝরে ঝরে
পড়ে-আমার স্নেহ প্রেম বাসনা আর অহমিকা
গলে গলে যায়। একদিন সব বোঝা পথের ধূলায়
ছড়ি্যে দিয়ে পড়ে থাকি ভাগাড়ের নিরজনে,
রঙ্গিন আক্ষরের লকেট বুকে সেটে “আমিও ছিলাম”।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
একেলা
শব্দে বাঁধতে চেয়ে জীবন সংখ্যার গোলোক ধাধায়
হারিয়ে গেলো-স্নগুলের ফাঁক দিয়ে তাজা আলোর মত।
প্রত্যেক সং্খ্যা এক একটা এক দিয়ে গড়া, পারস্পরিক
দূরত্বও তাই। তবু সেই একে একে আনন্ত ব্যবধ্যান ;
রূপ, ভাষা, করমে ভাবনায় ।একের মাঝে এক হারায়,
জেগে ওঠে অন্য এ্ রহস্যের রং মেখে ।তাই তো
জীবনের গান, ফুলের মালা গাঁথা হয় না
শত চেস্টায়। আমি না হারালে “ আমি” কথা কয় না।
নীরবতার অন্ধকারে স্মরি নিত্য একেলারে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
হারিয়ে গেলো-স্নগুলের ফাঁক দিয়ে তাজা আলোর মত।
প্রত্যেক সং্খ্যা এক একটা এক দিয়ে গড়া, পারস্পরিক
দূরত্বও তাই। তবু সেই একে একে আনন্ত ব্যবধ্যান ;
রূপ, ভাষা, করমে ভাবনায় ।একের মাঝে এক হারায়,
জেগে ওঠে অন্য এ্ রহস্যের রং মেখে ।তাই তো
জীবনের গান, ফুলের মালা গাঁথা হয় না
শত চেস্টায়। আমি না হারালে “ আমি” কথা কয় না।
নীরবতার অন্ধকারে স্মরি নিত্য একেলারে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
বসে আছি
দিন যায় অনায়াসে ধুকতে ধুকতে।
পাহাড়ী পথ ভেঙ্গে, সমতলের ছোঁয়া পেয়ে যেমন
মন্থরতায় গা ভাসায় নদী কিছুটা সময়
অথবা অনিচ্ছায় গড়িয়ে যাওয়া পিছল সিড়ি বেয়ে।
করমহীন নিসচেস্ট জড়ের মত, দিনের গ্লানি সরবাঙ্গে
মেখে, স্মৃতির বিছানায় এলিয়ে পড়ি । চিন্তার সূতোটা
ছিড়ে গেছে বহুসিন আগে এলোমেলো শুওকনো বাতাসে।
এখন শূন্য লাটাই নিয়ে বসে আছি পথের পাশে,
যদি কেহ একতাল রঙচঙ্গা সূতো নিয়ে আসে।
তাই তো সময়ের নুড়ি বিছাই অন্ধগলিতে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
পাহাড়ী পথ ভেঙ্গে, সমতলের ছোঁয়া পেয়ে যেমন
মন্থরতায় গা ভাসায় নদী কিছুটা সময়
অথবা অনিচ্ছায় গড়িয়ে যাওয়া পিছল সিড়ি বেয়ে।
করমহীন নিসচেস্ট জড়ের মত, দিনের গ্লানি সরবাঙ্গে
মেখে, স্মৃতির বিছানায় এলিয়ে পড়ি । চিন্তার সূতোটা
ছিড়ে গেছে বহুসিন আগে এলোমেলো শুওকনো বাতাসে।
এখন শূন্য লাটাই নিয়ে বসে আছি পথের পাশে,
যদি কেহ একতাল রঙচঙ্গা সূতো নিয়ে আসে।
তাই তো সময়ের নুড়ি বিছাই অন্ধগলিতে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
বেলা শেষে
যত দূরে যাই আমায় ঘিরে আকাশ স্বপ্ন বাসর গড়ে।
মেঘের রঙ্গিন দোলনায় দিগন্ত ঘিরে রয়।
শরীরের সাথে সাথে ছায়ার মত নীলাকাশ
গৃহ হয়ে রয় অবিরত। রক্তে নেশা জাগে
নতুন আশার ভঙ্গুর অস্বিত্ব নিয়ে ছোট কুঁড়ে ঘর।
সজল কাজল চোখের বিষাদ ছায় আনুভূমিক
রেখা দিয়ে ছাঁঁদ হয়ে যায় ।যেখানে সন্ধ্যা নামে
সদা মিলন গানে, মুখরিত বুলবুল শুধু আলাপনে ।
অসীমের বুকে জাগে সীমার আঁচড়,
উঠানে বিছিয়ে দিই ইচ্ছার কাঁকর।
তারপর রক্ত পায়ে বন্ধনের গান দ্বৈত কন্ঠে
গেয়ে ওঠে “বেলা অবসান”।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
মেঘের রঙ্গিন দোলনায় দিগন্ত ঘিরে রয়।
শরীরের সাথে সাথে ছায়ার মত নীলাকাশ
গৃহ হয়ে রয় অবিরত। রক্তে নেশা জাগে
নতুন আশার ভঙ্গুর অস্বিত্ব নিয়ে ছোট কুঁড়ে ঘর।
সজল কাজল চোখের বিষাদ ছায় আনুভূমিক
রেখা দিয়ে ছাঁঁদ হয়ে যায় ।যেখানে সন্ধ্যা নামে
সদা মিলন গানে, মুখরিত বুলবুল শুধু আলাপনে ।
অসীমের বুকে জাগে সীমার আঁচড়,
উঠানে বিছিয়ে দিই ইচ্ছার কাঁকর।
তারপর রক্ত পায়ে বন্ধনের গান দ্বৈত কন্ঠে
গেয়ে ওঠে “বেলা অবসান”।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
সংগ্রাম
যুদ্ধব্রতী আমরন জীবন সমরে।
অধিকারের শিকড় ছড়ানো উদাসীন মাটির বুকে।
জয়ের মহুয়া-নেশায় বিস্মৃতি আনে অতীতের সীমা।
হেরে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া, তবু
স্বকৃ্ত ছায়া-শত্রুর দিকে, অকাল সন্ধ্যায়
শান্তির শুভ্র নিশানাও বিদ্রোহের আগুন ধরায়।
উপেক্ষিত বঞ্ছিত নিস্পেসিত পরাজিত সেনার
যূথবদ্ধ আক্রমনে অতীতের দেনা পরিশোধ-
চিতায় শয়ন। জন্মলব্ধ সাম্রাজ্যে আত্মতুস্ট
নৃপতির প্রাচুরয্য না থাক শান্তির স্বস্তি আছে।
মাল। ১৮/৩/১৯৮৩
অধিকারের শিকড় ছড়ানো উদাসীন মাটির বুকে।
জয়ের মহুয়া-নেশায় বিস্মৃতি আনে অতীতের সীমা।
হেরে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া, তবু
স্বকৃ্ত ছায়া-শত্রুর দিকে, অকাল সন্ধ্যায়
শান্তির শুভ্র নিশানাও বিদ্রোহের আগুন ধরায়।
উপেক্ষিত বঞ্ছিত নিস্পেসিত পরাজিত সেনার
যূথবদ্ধ আক্রমনে অতীতের দেনা পরিশোধ-
চিতায় শয়ন। জন্মলব্ধ সাম্রাজ্যে আত্মতুস্ট
নৃপতির প্রাচুরয্য না থাক শান্তির স্বস্তি আছে।
মাল। ১৮/৩/১৯৮৩
বিন্দু
সৃষটির জন্য কলমকে চলতে হয় ঘাঁড় গুজে
এবং সব সৃস্টি কি অঁধোগামী ? হয়তো বা।
শিখা উ্ররদ্ধমুখী বলে নিজে পোঁড়ে আর অন্যকে পোড়ায়।
হোচট খেলে ক্ষনিক আকাশ দেখা, তারপর
নিঃসঙ্গ ভূমির উপর আক্ষরের ইমারতে
কল্পনাকে বন্দী করা। আকাশের ঠোঁট যেথা
পৃ্তহিবীর অধরে পায় অমৃতধারা।
নত্মূক্ষী ভীরু পায়ে পথ চলা তারই উদ্দেশ্যে।
তারপর একদিন বিন্দু হয়ে মিশে যাওয়া
দিগন্তের বুকে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
এবং সব সৃস্টি কি অঁধোগামী ? হয়তো বা।
শিখা উ্ররদ্ধমুখী বলে নিজে পোঁড়ে আর অন্যকে পোড়ায়।
হোচট খেলে ক্ষনিক আকাশ দেখা, তারপর
নিঃসঙ্গ ভূমির উপর আক্ষরের ইমারতে
কল্পনাকে বন্দী করা। আকাশের ঠোঁট যেথা
পৃ্তহিবীর অধরে পায় অমৃতধারা।
নত্মূক্ষী ভীরু পায়ে পথ চলা তারই উদ্দেশ্যে।
তারপর একদিন বিন্দু হয়ে মিশে যাওয়া
দিগন্তের বুকে।
মাল, ১৮/৩/১৯৮৩
Thursday, June 3, 2010
বরতমান
অতীতকে কবর দাও, ওটা গলিত শব ।
বাঁচার উন্মাদ বাসনা ওর নেই।বিস্মৃতির মাটি দিয়ে
ভরাট করো সেই শূন্য গরভ বিবিরন ফাঁটল।
অনুতাপের বিষাক্ত আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে মারো
সেই কুতসিত ভূতটাকে।অথবা আত্মাহুতির জহরত ব্রতে
শেষ হোক পুরানো কালো অধ্যায় । ভয়ঙ্কর ব্যাধির মত
দুস্ট স্মৃতি দুশ্চিন্তার কারাগারে বন্দী আত্মাকে
অহরহকুরে কুরে খায়। অনশন আর অসহ্য বেকারত্বে
মন শুকণ পাতার মত ধুঁকতে থাকে।
এসো অভিজ্ঞতার নীতিহীন জঞ্জাল ফেলে,
নতুন ভবিস্যত গড়ি।
যেহেতু ভাবীকাল বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।
ওদলাবারি, ২৯/৩/১৯৮৩
বাঁচার উন্মাদ বাসনা ওর নেই।বিস্মৃতির মাটি দিয়ে
ভরাট করো সেই শূন্য গরভ বিবিরন ফাঁটল।
অনুতাপের বিষাক্ত আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে মারো
সেই কুতসিত ভূতটাকে।অথবা আত্মাহুতির জহরত ব্রতে
শেষ হোক পুরানো কালো অধ্যায় । ভয়ঙ্কর ব্যাধির মত
দুস্ট স্মৃতি দুশ্চিন্তার কারাগারে বন্দী আত্মাকে
অহরহকুরে কুরে খায়। অনশন আর অসহ্য বেকারত্বে
মন শুকণ পাতার মত ধুঁকতে থাকে।
এসো অভিজ্ঞতার নীতিহীন জঞ্জাল ফেলে,
নতুন ভবিস্যত গড়ি।
যেহেতু ভাবীকাল বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।
ওদলাবারি, ২৯/৩/১৯৮৩
আত্মজা
নিজেকে দাড় করে রেখে কোন ব্যস্ত চৌরাস্তায়,
আমি মিশে যাই উদাসীন জন স্রোতে”
এই ভাবেই নিজের দুঃখ বেদনাকে সাহায্য করে
ভূলে থাকতে, অথবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে দিয়ে জামা
ব্যাকা চোখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। তবু চোখের
আঁতশ কাঁচে হৃদয়ের সবটুকু ধরা পড়ে না।
যেহাতু কিছু কিছু দুঃখ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কোষে
টিক দুরধ্রষ্য গেরিলার মত, ারা অস্বিত্ব ঘোষনা করে
কোন মূক্তাঞ্চলে আম্র দুরবল মূহুরতে।
দরশকের ঔদাসীন্য ঝরে পড়ে, তাই মমতায়
তুলে নিই দুঃখী আন্মজেরে।
ওদলাবারি, ২৯/৩/১৯৮৩
আমি মিশে যাই উদাসীন জন স্রোতে”
এই ভাবেই নিজের দুঃখ বেদনাকে সাহায্য করে
ভূলে থাকতে, অথবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে দিয়ে জামা
ব্যাকা চোখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। তবু চোখের
আঁতশ কাঁচে হৃদয়ের সবটুকু ধরা পড়ে না।
যেহাতু কিছু কিছু দুঃখ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য কোষে
টিক দুরধ্রষ্য গেরিলার মত, ারা অস্বিত্ব ঘোষনা করে
কোন মূক্তাঞ্চলে আম্র দুরবল মূহুরতে।
দরশকের ঔদাসীন্য ঝরে পড়ে, তাই মমতায়
তুলে নিই দুঃখী আন্মজেরে।
ওদলাবারি, ২৯/৩/১৯৮৩
লাটাই
দেহের কোশে কোশে চিন্তার গুটিপোকা
কামনা আর স্বপ্নের জাল বোনে।
মন্থর দিন রাতের ছোট্ট ছোট্ট মূহুরত
যার উপর ভর দিয়ী জীবন জীবন্ত।
ভুলে যাওয়া একটা সুন্দর কবিতা, মেঘের ফাঁকে
দেখা দুটি সজল আঁখি, বিস্মৃত প্রিয়ার কোন চেনা মুখ,
মন কেমন করা বিশেষ ফুলের গন্ধ, ছায়া ঢাকা সুশীতল
শান্তির নীড়, অথবা সকালের আকাশের মোহ
কিংবা কোন মায়াবী রঙ, কোন দুরলভ ক্ষন- প্রথম
অভিজ্ঞতা- এই সব টুকরো টুকরো মূহুরতের সূঁতোয়
জীবনের লাটাই ঘোরে। ইচ্ছা অনিচ্ছা সব মূল্যহীন নুঁড়ি
যেথায় নিরভার হয়ে জীবন দাঁড়ায় না ।
ওদলাবাড়ী, ২৯/৩/১৯৮৩
কামনা আর স্বপ্নের জাল বোনে।
মন্থর দিন রাতের ছোট্ট ছোট্ট মূহুরত
যার উপর ভর দিয়ী জীবন জীবন্ত।
ভুলে যাওয়া একটা সুন্দর কবিতা, মেঘের ফাঁকে
দেখা দুটি সজল আঁখি, বিস্মৃত প্রিয়ার কোন চেনা মুখ,
মন কেমন করা বিশেষ ফুলের গন্ধ, ছায়া ঢাকা সুশীতল
শান্তির নীড়, অথবা সকালের আকাশের মোহ
কিংবা কোন মায়াবী রঙ, কোন দুরলভ ক্ষন- প্রথম
অভিজ্ঞতা- এই সব টুকরো টুকরো মূহুরতের সূঁতোয়
জীবনের লাটাই ঘোরে। ইচ্ছা অনিচ্ছা সব মূল্যহীন নুঁড়ি
যেথায় নিরভার হয়ে জীবন দাঁড়ায় না ।
ওদলাবাড়ী, ২৯/৩/১৯৮৩
জীবন
জীবনের পাঁপড়িগুলো অনিশ্চয়তার ইন্দ্রধনু
রঙ্গে ছোপানো, তাই মুগ্ধ বিস্ময়ে দাঁড় টানি নিরুদ্দেশের পানে।
কুয়াশার ভেলভেটে মায়াবী আলপনা,বাসনা মরিচীকার
নিত্য আনাগোনা,ঘিরে আছে জীবন আর প্রেমের ছায়া শরীর।
শবরীর অন্তহীন তপস্যা ঊষা লাগি অথচ ভ্রান্তি উন্মোচনে
রাত্রি দীরঘ তর হয় ;আঁধারের মেদ জমে শিরায় শিরায়।
“ আমি কিছু জানি না” এই রূঢ় সত্য আবিস্কার,
ঘাটে বাঁধা তরী নিয়ে সারারাত উদ্দাম বিহার-
মারাত্মক উপহাস । তারচেয়ে রোমাঞ্চ জড়ানো
সেই পথ-হারাবার বিলাস, স্নায়ূ আর তন্ত্রীর সন্নিবেশে
তুলুক উদ্দাম উচ্ছ্বাস । স্বপ্ন-ধ্বংসী করুন ন্যাপাম আলোক
লুকানো থাক মহা কালের বুকে।আমি শুধু স্খলিত দুরবল পায়ে
হেঁটে চলি অবিরাম দিক হতে দিকে।
চলার সে আনন্দ মোর সান্ত্বনা হয়ে সপ্ত সুরে
বুলবুল ওঠে যেন গেয়ে। ভাঙ্গা বীনার সেই ছেঁড়া তারে
অপরূপা হয়ে ওঠে কুঁয়াশা আঁধারে।
মাল, ২৯/৩/১৯৮৩
রঙ্গে ছোপানো, তাই মুগ্ধ বিস্ময়ে দাঁড় টানি নিরুদ্দেশের পানে।
কুয়াশার ভেলভেটে মায়াবী আলপনা,বাসনা মরিচীকার
নিত্য আনাগোনা,ঘিরে আছে জীবন আর প্রেমের ছায়া শরীর।
শবরীর অন্তহীন তপস্যা ঊষা লাগি অথচ ভ্রান্তি উন্মোচনে
রাত্রি দীরঘ তর হয় ;আঁধারের মেদ জমে শিরায় শিরায়।
“ আমি কিছু জানি না” এই রূঢ় সত্য আবিস্কার,
ঘাটে বাঁধা তরী নিয়ে সারারাত উদ্দাম বিহার-
মারাত্মক উপহাস । তারচেয়ে রোমাঞ্চ জড়ানো
সেই পথ-হারাবার বিলাস, স্নায়ূ আর তন্ত্রীর সন্নিবেশে
তুলুক উদ্দাম উচ্ছ্বাস । স্বপ্ন-ধ্বংসী করুন ন্যাপাম আলোক
লুকানো থাক মহা কালের বুকে।আমি শুধু স্খলিত দুরবল পায়ে
হেঁটে চলি অবিরাম দিক হতে দিকে।
চলার সে আনন্দ মোর সান্ত্বনা হয়ে সপ্ত সুরে
বুলবুল ওঠে যেন গেয়ে। ভাঙ্গা বীনার সেই ছেঁড়া তারে
অপরূপা হয়ে ওঠে কুঁয়াশা আঁধারে।
মাল, ২৯/৩/১৯৮৩
Subscribe to:
Posts (Atom)