জীবনের পাঁপড়িগুলো অনিশ্চয়তার ইন্দ্রধনু
রঙ্গে ছোপানো, তাই মুগ্ধ বিস্ময়ে দাঁড় টানি নিরুদ্দেশের পানে।
কুয়াশার ভেলভেটে মায়াবী আলপনা,বাসনা মরিচীকার
নিত্য আনাগোনা,ঘিরে আছে জীবন আর প্রেমের ছায়া শরীর।
শবরীর অন্তহীন তপস্যা ঊষা লাগি অথচ ভ্রান্তি উন্মোচনে
রাত্রি দীরঘ তর হয় ;আঁধারের মেদ জমে শিরায় শিরায়।
“ আমি কিছু জানি না” এই রূঢ় সত্য আবিস্কার,
ঘাটে বাঁধা তরী নিয়ে সারারাত উদ্দাম বিহার-
মারাত্মক উপহাস । তারচেয়ে রোমাঞ্চ জড়ানো
সেই পথ-হারাবার বিলাস, স্নায়ূ আর তন্ত্রীর সন্নিবেশে
তুলুক উদ্দাম উচ্ছ্বাস । স্বপ্ন-ধ্বংসী করুন ন্যাপাম আলোক
লুকানো থাক মহা কালের বুকে।আমি শুধু স্খলিত দুরবল পায়ে
হেঁটে চলি অবিরাম দিক হতে দিকে।
চলার সে আনন্দ মোর সান্ত্বনা হয়ে সপ্ত সুরে
বুলবুল ওঠে যেন গেয়ে। ভাঙ্গা বীনার সেই ছেঁড়া তারে
অপরূপা হয়ে ওঠে কুঁয়াশা আঁধারে।
মাল, ২৯/৩/১৯৮৩
Thursday, June 3, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment