দূরের ওই নগ্ন পাহাড় , যেন কিসানের স্বপ্ন হাঁড়
উদাসীন ধরনী পরে পড়ে আছে মৃত অসাড় ।
মানুষেররে ভালবেসে ঘৃ্নার পশরা কেনে
রক্ত আর ঘামে সত্যি বড্ড কম দামে ।
তাই তো শোষনের লোভী হাত খুবলে নেয়
অবশিস্ট শুকনো মাঙ্গস পিন্ড শকুনের মত।
ভোগের নবেদ্য জয় কৃষানের দেহ
ওখানেই খুঁজে পায় মূক্তি নিরমেহ।
ভাঙ্গা হাড়ে স্বপ্ন দেখে কত রঙ্গিন ভবিস্যতের !
ধীরে ধীরে নিজেই প্রাসাদ হয়ে যায়,
যেখানে বাসা বাঁধে বাস্তু ঘুঘু জঘন্য শয়তানের দল ।
মিটিং-এ আওয়াজ তোলে,
“সরবহারার সাম্যে গনতন্ত্র প্রতিস্টা হোক’
শহীদের শান্তি কামনায় দুমিনিট নীরবতা।
বাঁচার অধিকার যারা নিয়েছে কেড়ে,
যারা পাইনি খেতে দুমুঠো ভরে,
যাদের ফসল ওঠে অন্যের গোলায়,
জীবন দিয়ে যারা শোধিল বাঁচার দ্ম,কুখ বুজে সহিল মানবতার ঘৃ্ন্য অপমান।
... ...... ...
সেই সে দধিচীরে প্রমানি অবনত শিরে।
বিষাদ অন্তরে আজি শপথ নিলাম, যত দিন বাঁচি- মুখোস আঁটা
ধনতন্ত্রের সেই গোলামদের , তিলে তিলে কবরের মাটি খুঁড়ে যাবো
মরন যদি হয় তবু ফিরে আসবো ।
দলগাও ২৮/৪/১৯৮৩
Sunday, May 30, 2010
Saturday, May 29, 2010
ক্ষুধা
এক মুঠো দেঁতো হাসি
এক থালা নরম ভালবাসা,শ্রদ্ধার শীতল সান্বিধ্য –
সস্তা নীলামে ওঠে এ হাটে, শান্তি সলোফেন,
শত ঘুন ধরা ফাটলে। এমনই নিত্য দরকারি কিছু
অমূল্য সামগ্রী, কৃপন লক্ষীর বন্ধকী সিন্দুকে ,
অনাদরে পড়ে আছে বহুদিন। মহাজন তো একজনই
দেবার ও নেবার।
পুরানো অথচ ভীষন জরুরী জিনিসগুলো
ফিরে পেতে কিছু টাকার প্রয়োজন , অথচ
বিনিময়ে দেবার মত কিছু নেই, আপাতত
নেজেকে ছাড়া ।মন্টা বন্ধক নয় বিক্রি করলে
কিছু পয়সা যদি পাই- দেহের
রাক্ষুসী ক্ষুধায় উপহার দিই।
মাল, ২৩/৪/১৯৮৩
এক থালা নরম ভালবাসা,শ্রদ্ধার শীতল সান্বিধ্য –
সস্তা নীলামে ওঠে এ হাটে, শান্তি সলোফেন,
শত ঘুন ধরা ফাটলে। এমনই নিত্য দরকারি কিছু
অমূল্য সামগ্রী, কৃপন লক্ষীর বন্ধকী সিন্দুকে ,
অনাদরে পড়ে আছে বহুদিন। মহাজন তো একজনই
দেবার ও নেবার।
পুরানো অথচ ভীষন জরুরী জিনিসগুলো
ফিরে পেতে কিছু টাকার প্রয়োজন , অথচ
বিনিময়ে দেবার মত কিছু নেই, আপাতত
নেজেকে ছাড়া ।মন্টা বন্ধক নয় বিক্রি করলে
কিছু পয়সা যদি পাই- দেহের
রাক্ষুসী ক্ষুধায় উপহার দিই।
মাল, ২৩/৪/১৯৮৩
জীবন
এই যে বৃত্ত,
আকস্মিক দুরঘটনায় জন্ম ,বয়ে যাওয়া
কৈশরে অকেজো পাঠ, ভাদ্রের যৌবনে বেপরোয়া সাঁতার কাটা
কোন নস্তরঙ্গ নদীতে, অমরত্বের ভ্রুনে উষ্ণতা ঢেলে দেওয়া
অকৃপন ঔদারয্যেদ , তারপর প্রমিসরি নোটের মত
হাজার বাসনার চাহিদা মিটাতেই বৃত্ত সম্পুরন্য-
যার নাম জীবন ।এই পঙ্কিল ক্ষুদ্র আবরত্যে ডুবতে ডুবতে
ইচ্ছা করে ভেঙ্গে ফেলি সব অথবা পরিধি সীমানা ছড়িয়ে দিই
অন্য কোন দিগন্তে, যেথা এই আশান্ত কোলাহল নেই ,
নিরলিপ্ত প্রশান্তি মাখা সমাধি মাঝে কিংবা
মৃত্যুর দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই জীবন থেকে ।
ম্যাল, ২২/৪/১৯৮৩
আকস্মিক দুরঘটনায় জন্ম ,বয়ে যাওয়া
কৈশরে অকেজো পাঠ, ভাদ্রের যৌবনে বেপরোয়া সাঁতার কাটা
কোন নস্তরঙ্গ নদীতে, অমরত্বের ভ্রুনে উষ্ণতা ঢেলে দেওয়া
অকৃপন ঔদারয্যেদ , তারপর প্রমিসরি নোটের মত
হাজার বাসনার চাহিদা মিটাতেই বৃত্ত সম্পুরন্য-
যার নাম জীবন ।এই পঙ্কিল ক্ষুদ্র আবরত্যে ডুবতে ডুবতে
ইচ্ছা করে ভেঙ্গে ফেলি সব অথবা পরিধি সীমানা ছড়িয়ে দিই
অন্য কোন দিগন্তে, যেথা এই আশান্ত কোলাহল নেই ,
নিরলিপ্ত প্রশান্তি মাখা সমাধি মাঝে কিংবা
মৃত্যুর দরজা দিয়ে পালিয়ে যাই জীবন থেকে ।
ম্যাল, ২২/৪/১৯৮৩
বিকাল
দিনের এঁটো আলো চেঁটে নিলো কুকুর জিহ্বায় পিপাসারত্য সন্ধ্যা ।
বিড়াল পায়ে অন্ধকার নেমে এলো মনের ঊঠোনে ।
বায়না মাছির ভন ভনানি নেই ;এখন উদলা গায়ে
অভাবের কাঁমড় আর ছার পোকার ্সাচ্ছন্ধ্য বিহার।
গম্বুজ বুকে ভারী বাতাসের কান্না, তবু পেটের সীমানা
বাড়াই কোমর আর বক্ষের জমিতে ।
গুড়ো গুড়ো অন্ধকার শিশিরে
হায়েনা হাসি ফোটে মরন গুহায় ।
কিছু কিছু অঙ্গ আশ্চরয্যহ সজীব আরর করমব্যস্ত
হয়ে ওঠে ঘন তিমিরে, যার নাম অনৈ্তিক বন্দি –
আশ্লীল ভালবাসা ! শতচ্ছিন্ন ময়লা কাগজে
কোন ফুল ফোঁটে।
গোবিন্দপুর, ১৯/৪/১৯৮৩
বিড়াল পায়ে অন্ধকার নেমে এলো মনের ঊঠোনে ।
বায়না মাছির ভন ভনানি নেই ;এখন উদলা গায়ে
অভাবের কাঁমড় আর ছার পোকার ্সাচ্ছন্ধ্য বিহার।
গম্বুজ বুকে ভারী বাতাসের কান্না, তবু পেটের সীমানা
বাড়াই কোমর আর বক্ষের জমিতে ।
গুড়ো গুড়ো অন্ধকার শিশিরে
হায়েনা হাসি ফোটে মরন গুহায় ।
কিছু কিছু অঙ্গ আশ্চরয্যহ সজীব আরর করমব্যস্ত
হয়ে ওঠে ঘন তিমিরে, যার নাম অনৈ্তিক বন্দি –
আশ্লীল ভালবাসা ! শতচ্ছিন্ন ময়লা কাগজে
কোন ফুল ফোঁটে।
গোবিন্দপুর, ১৯/৪/১৯৮৩
পাহাড় দেখা
মেঘলা আকাশের তলে দিনের রবি কখন কোন পাহাড়ের তলে হঠাত
নিঃশব্দে ঝরে পড়লো- টের পাইনি। সম্ভবত এখাঙ্কার সমস্ত বাসিন্দা দিন গোনে ঘড়ির কাঁটায়।
আলো আর উত্তাপ, দিনরাত জোগান দেয় বিদ্যুত আর কাঠ ।সুরজ্যের তেমন ভুমিকা নেই
এই অন্ধকার পূরীতে। পরিস্কার সকাল কিছু ট্যুরিস্ট টানে। সৌ্নদরজ্য পূজারী, কল্পনা বিলাসী
আর সৌ্খীন ধনীর দুলালদের ভিড়ে ছার পোকার বরধিস্নু সংসার ।দেবতারা বাসা বদল করেছে,
পোঁড়া-মাতীর নীতি মেনে, তাই নেই তেমন স্মৃতি সাক্ষর, দু/চারটে ধ্যান মগ্ন বুদ্ধের
প্যাগোডা ছাড়া।বড়লোক ধরম ভীরু আর গরীবেরা ধরমান্ধ ; হয়তো অচিরে জন্ম নেবে
বহু বিস্বাসী দেবতা।মন্দিরও শিল্প , ঝুকি নেই- নেই কোন সমস্যা ।পাহাড় দেখতে হয়
রঙ্গেএন গগলসে অথবা পাহাড়ইতা পরিয়ে দেয় অপূরব কুশলতায়, সম্পুরন অজান্তে।
অহেতুক গরবোন্নত শির যদি এই বিরাতত্বের কাছে অবনত লজ্জিত না হয় ,
তবে সে দেখা মূল্যহীন ক্ষনিক উল্লাস।আকাশ-চুড়া-আমি আর মাটির এই অরথবহ
অসম রেখায় বসে, করমহীন জীবনের ইতিবৃত্ত দেখি গভীর মমতায়।
মনে হয় বৃথা হাল বাওয়া বালুকা বেলায়।
গোবিন্দপুর, ১৮।৪।১৯৮৩
নিঃশব্দে ঝরে পড়লো- টের পাইনি। সম্ভবত এখাঙ্কার সমস্ত বাসিন্দা দিন গোনে ঘড়ির কাঁটায়।
আলো আর উত্তাপ, দিনরাত জোগান দেয় বিদ্যুত আর কাঠ ।সুরজ্যের তেমন ভুমিকা নেই
এই অন্ধকার পূরীতে। পরিস্কার সকাল কিছু ট্যুরিস্ট টানে। সৌ্নদরজ্য পূজারী, কল্পনা বিলাসী
আর সৌ্খীন ধনীর দুলালদের ভিড়ে ছার পোকার বরধিস্নু সংসার ।দেবতারা বাসা বদল করেছে,
পোঁড়া-মাতীর নীতি মেনে, তাই নেই তেমন স্মৃতি সাক্ষর, দু/চারটে ধ্যান মগ্ন বুদ্ধের
প্যাগোডা ছাড়া।বড়লোক ধরম ভীরু আর গরীবেরা ধরমান্ধ ; হয়তো অচিরে জন্ম নেবে
বহু বিস্বাসী দেবতা।মন্দিরও শিল্প , ঝুকি নেই- নেই কোন সমস্যা ।পাহাড় দেখতে হয়
রঙ্গেএন গগলসে অথবা পাহাড়ইতা পরিয়ে দেয় অপূরব কুশলতায়, সম্পুরন অজান্তে।
অহেতুক গরবোন্নত শির যদি এই বিরাতত্বের কাছে অবনত লজ্জিত না হয় ,
তবে সে দেখা মূল্যহীন ক্ষনিক উল্লাস।আকাশ-চুড়া-আমি আর মাটির এই অরথবহ
অসম রেখায় বসে, করমহীন জীবনের ইতিবৃত্ত দেখি গভীর মমতায়।
মনে হয় বৃথা হাল বাওয়া বালুকা বেলায়।
গোবিন্দপুর, ১৮।৪।১৯৮৩
অপরুপা
ভিঁজা কাপড়ে কাঁচ মোছার পরে যেমন শুরু থেকে
শুকাতে থাকে, এখাঙ্কার কুয়াশার মেঘ ঠিক উল্টো
নিয়মে কাটতে থাকে- ধীরে –খুব ধীরে । তারপর
থমকে থাকে সমান্তরাল রেখায় পাহাড়ের কোমরে ;
নীচে ফুটে ওঠে তাআআরাভরা আরেকটা আকাশ ;
অবিকল এক ছবি – না-প্রতিচ্ছবি আধিতক্যার বুকে ।
তুলনাহীন অপরুপা , এ বৃত্তের মাঝে –দৃষটি মোর
শুধু ঘুরে মরে, যেন অনন্ত কাল ধরে।
মিলন হোটেল, দারজিলিং, ১৬/৪/১৯৮৩
শুকাতে থাকে, এখাঙ্কার কুয়াশার মেঘ ঠিক উল্টো
নিয়মে কাটতে থাকে- ধীরে –খুব ধীরে । তারপর
থমকে থাকে সমান্তরাল রেখায় পাহাড়ের কোমরে ;
নীচে ফুটে ওঠে তাআআরাভরা আরেকটা আকাশ ;
অবিকল এক ছবি – না-প্রতিচ্ছবি আধিতক্যার বুকে ।
তুলনাহীন অপরুপা , এ বৃত্তের মাঝে –দৃষটি মোর
শুধু ঘুরে মরে, যেন অনন্ত কাল ধরে।
মিলন হোটেল, দারজিলিং, ১৬/৪/১৯৮৩
অহমিকা
নরম কুয়াশার ভারী কোট গায়ে
সরপিল পিচ্ছিল পথে দ্বীপ হয়ে চলি।
পুরু বাতাসে ওঠে ভেকছন্দে করকশ পদধ্বনি।
স্রোতস্বিনী মেঘের ফাঁকে কাছের মানবীকেও
মনে হয় অপরিচিত গ্রহান্তরের জীব অথবা বরফ ভালুক ;
এই উচু নীচু ভাঙ্গা ছেঁড়া পাহাড়ী পথ যেন
জীবনের রাস্তা ; অনেক মৃত্যুর হাতছানি আর
উত্থান – পতন। নিঃসঙ্গ হেটে চলি জন্মান্তরের পানে
অঙ্গহীন এক বিচিত্র ছায়া । প্রতিটি অঙ্গ যেন
অজানা জামা, যাদের চেনার গরব তৈ্রী করে
অহমিকার কুটিল আবরত । এখন মনে হয়
এ সব কিছু আমার নয়- আমি তো নই-ই ।
দারজিলিং, ১৭/৪/১৯৮৩
সরপিল পিচ্ছিল পথে দ্বীপ হয়ে চলি।
পুরু বাতাসে ওঠে ভেকছন্দে করকশ পদধ্বনি।
স্রোতস্বিনী মেঘের ফাঁকে কাছের মানবীকেও
মনে হয় অপরিচিত গ্রহান্তরের জীব অথবা বরফ ভালুক ;
এই উচু নীচু ভাঙ্গা ছেঁড়া পাহাড়ী পথ যেন
জীবনের রাস্তা ; অনেক মৃত্যুর হাতছানি আর
উত্থান – পতন। নিঃসঙ্গ হেটে চলি জন্মান্তরের পানে
অঙ্গহীন এক বিচিত্র ছায়া । প্রতিটি অঙ্গ যেন
অজানা জামা, যাদের চেনার গরব তৈ্রী করে
অহমিকার কুটিল আবরত । এখন মনে হয়
এ সব কিছু আমার নয়- আমি তো নই-ই ।
দারজিলিং, ১৭/৪/১৯৮৩
প্রয়াস
ক্ষীনস্রোতা পাহাড়ী নদী তীরে, খ্যাপলা জাল ফেলে
সারাদিন রঙ্গিন মাছেদের ধরতে চাই ।
মনে হয় –দেয় ধরা সেই আশায়,জাল টানি পরম মমতায় ।
হাজার পাথরের ভাঁজে চঞ্চল সে মাছেরা
কখন যে লুকিয়ে পড়ে আর তাকিয়ে দেখে ;
অট্টহাসিতে জলে তোলে তরং মালা ।
ওরা জানে – আমার মাঝে লুকিয়ে আছে কোন পাশবিক আনন্দ,
অথবা অসহায় অন্য কোন মাছ,
তাই করুনা নয় – ঘৃ্নার চোখ মেলে
দেখে মোর ব্যরথ প্রয়াস ।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
সারাদিন রঙ্গিন মাছেদের ধরতে চাই ।
মনে হয় –দেয় ধরা সেই আশায়,জাল টানি পরম মমতায় ।
হাজার পাথরের ভাঁজে চঞ্চল সে মাছেরা
কখন যে লুকিয়ে পড়ে আর তাকিয়ে দেখে ;
অট্টহাসিতে জলে তোলে তরং মালা ।
ওরা জানে – আমার মাঝে লুকিয়ে আছে কোন পাশবিক আনন্দ,
অথবা অসহায় অন্য কোন মাছ,
তাই করুনা নয় – ঘৃ্নার চোখ মেলে
দেখে মোর ব্যরথ প্রয়াস ।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
জানালা
জানালাটা বন্ধ করে দাও অন্ধকারের ঢল নামুক সমগ্র অস্তিত্বে ।
তারপর নিরমেহ নিসপৃহ্তায় অনিরবান আলোর শিখা জ্বলে উঠুক শ্বাপদ অরন্যে ।
নিরমম মমতার আঁচলে অন্তত কিছুদিন খেলা করুক রোদ বৃস্টি ঝড়ে।
আত্ম রক্ষার দুরগটা সূক্তির মত শক্ত হোক কালের প্রবাহে।
এবার খুলে দাও সব জানালা উষ্ণতার জন্য বাইরের আলো লাগবে না –
তুমি তখন নতুন সূরয্য !
চারিদিকে শীতারতের শুকনো মুখ।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
তারপর নিরমেহ নিসপৃহ্তায় অনিরবান আলোর শিখা জ্বলে উঠুক শ্বাপদ অরন্যে ।
নিরমম মমতার আঁচলে অন্তত কিছুদিন খেলা করুক রোদ বৃস্টি ঝড়ে।
আত্ম রক্ষার দুরগটা সূক্তির মত শক্ত হোক কালের প্রবাহে।
এবার খুলে দাও সব জানালা উষ্ণতার জন্য বাইরের আলো লাগবে না –
তুমি তখন নতুন সূরয্য !
চারিদিকে শীতারতের শুকনো মুখ।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
সংগ্রাম
খুব ভালো আর কুতসিত মন্দের মাঝখানে
যে বিশাল প্রান্তর , তারই সীমানা ভেঙ্গে গড়ে ওঠে
নতুন বসতি, প্রতিদিন প্রতি পলকে । গ্রহ চ্যুত উদ্বাস্তুর জীবন
কোলাহল । দুরধরস্য সৈ্নিকের আগ্রাসী ক্ষুধার শিকার
অচেনা প্রাচীর ; জন্ম নেয় কোন জনপদ।
একদিকে অজানার বৃত্ত সঙ্কুচিত , অন্য দিকে স্বরোপিত রকমারি
সুখ দুঃখের জঙ্গলে ভরে ওঠে রহস্যময় দুরগ ।
ঠিক এমনই বলয়ে জীবন সংগ্রাম চলে
অনন্ত কাল ধরে।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
যে বিশাল প্রান্তর , তারই সীমানা ভেঙ্গে গড়ে ওঠে
নতুন বসতি, প্রতিদিন প্রতি পলকে । গ্রহ চ্যুত উদ্বাস্তুর জীবন
কোলাহল । দুরধরস্য সৈ্নিকের আগ্রাসী ক্ষুধার শিকার
অচেনা প্রাচীর ; জন্ম নেয় কোন জনপদ।
একদিকে অজানার বৃত্ত সঙ্কুচিত , অন্য দিকে স্বরোপিত রকমারি
সুখ দুঃখের জঙ্গলে ভরে ওঠে রহস্যময় দুরগ ।
ঠিক এমনই বলয়ে জীবন সংগ্রাম চলে
অনন্ত কাল ধরে।
আলিপুরদুয়ার, ৩/৫/১৯৮৩
Friday, May 28, 2010
মৃত্যু
কালো পোষাকে সরবাঙ্গ ঢেকে আঁধার ছায়ায় মিশে
নিঃশব্দ পায়ে চলি সদা ধেয়ে ঘরে ঘরে দেশে দেশে ।
কাতর স্বরে যে আমারে ডাকে সদা একপ্রানে ,
মুক্ষ ফিরিয়ে যাই যে চলে, ত্বরা করে তার দ্বারে আর আসিনে।
নানা রঙের নানা মাপের বিচিত্র যত সম্ভার,
সঙ্গোপনে সবাকার তরে অকাতরে পাঠাই আমি উপহার।
আমারই তরে অশ্রু ঝরে তবু পড়ে রহি চির অনাদরে।
তাই তো শোকের বহ্নি জ্বেলে , নিজে জ্বলি-পোড়াই সকলে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
নিঃশব্দ পায়ে চলি সদা ধেয়ে ঘরে ঘরে দেশে দেশে ।
কাতর স্বরে যে আমারে ডাকে সদা একপ্রানে ,
মুক্ষ ফিরিয়ে যাই যে চলে, ত্বরা করে তার দ্বারে আর আসিনে।
নানা রঙের নানা মাপের বিচিত্র যত সম্ভার,
সঙ্গোপনে সবাকার তরে অকাতরে পাঠাই আমি উপহার।
আমারই তরে অশ্রু ঝরে তবু পড়ে রহি চির অনাদরে।
তাই তো শোকের বহ্নি জ্বেলে , নিজে জ্বলি-পোড়াই সকলে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
নব্য ধারা
ছন্দের জবড়্জং সেকেলে পোষাককে
নব প্রজন্মের দুরবোধ্য শিশুরা কেমন ঘৃ্না মেশানো করুনার চোখে দেখে।
ওরা জানে- পৃ্থ্বী অগ্নি গরভা অনূতে ভরা।
বাসনা এঁকে রাখে রঙ্গিন জামায় । অনুপ্রাস প্রাচুরযে্ নাকি
দহন বাড়ায় অথবা কয়েদীর জামার এক নগ্ন মিছিল
কিংবা ছাঁচে ধালা কোন ভগ্ন নিরবোধ-
বিছিত্র ব্যাখ্যার যেন আখ্যান সলিল
অস্ফুট ধোঁয়াসা আনে দুরন্ত প্রবোধ। সুরের কারাগারে
জন্মে নব রাগিনী, আস্তাকুঁড়ে পড়ে কাঁদে পুরানো মুরছনা।
উলঙ্গ অতিথিরে জানাই অভরথনা,
উতসবে মেতে ওঠে প্রতিসঠা রজনী।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
নব প্রজন্মের দুরবোধ্য শিশুরা কেমন ঘৃ্না মেশানো করুনার চোখে দেখে।
ওরা জানে- পৃ্থ্বী অগ্নি গরভা অনূতে ভরা।
বাসনা এঁকে রাখে রঙ্গিন জামায় । অনুপ্রাস প্রাচুরযে্ নাকি
দহন বাড়ায় অথবা কয়েদীর জামার এক নগ্ন মিছিল
কিংবা ছাঁচে ধালা কোন ভগ্ন নিরবোধ-
বিছিত্র ব্যাখ্যার যেন আখ্যান সলিল
অস্ফুট ধোঁয়াসা আনে দুরন্ত প্রবোধ। সুরের কারাগারে
জন্মে নব রাগিনী, আস্তাকুঁড়ে পড়ে কাঁদে পুরানো মুরছনা।
উলঙ্গ অতিথিরে জানাই অভরথনা,
উতসবে মেতে ওঠে প্রতিসঠা রজনী।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
বিদায়
শুভ্র বসনা দুরন্ত লোলনা ললুপ রসনা শান্ত করো না
তোমার কুহক জালে, চুম্বক অনলে,সদা পড়ে ঢলে, পতঙ্গ দলে।
অনন্ত ক্দুধার , জ্বলন্ত চিতার, নরম আহার , হৃদয় সবার।
লীলায়িত অঙ্গে, হরসিত রঙ্গে, দাঁড়াও ত্রিভঙ্গে, সহচরী সঙ্গে ।
বহ্নি শিখা জ্বেলে, খেলার ছলে, ঝাঁপিয়ে পড়িলে মৃত্যুর কোলে ।
ধুঁয়ার আড়ালে, নিজেকে লুকালে , তবু নয়ন জ্বলে কামনা অনলে।
নিজেরে দহিয়ে , সবার হৃদয়ে,গেলে হে জ্বালিয়ে শেষ বিদায়ে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
তোমার কুহক জালে, চুম্বক অনলে,সদা পড়ে ঢলে, পতঙ্গ দলে।
অনন্ত ক্দুধার , জ্বলন্ত চিতার, নরম আহার , হৃদয় সবার।
লীলায়িত অঙ্গে, হরসিত রঙ্গে, দাঁড়াও ত্রিভঙ্গে, সহচরী সঙ্গে ।
বহ্নি শিখা জ্বেলে, খেলার ছলে, ঝাঁপিয়ে পড়িলে মৃত্যুর কোলে ।
ধুঁয়ার আড়ালে, নিজেকে লুকালে , তবু নয়ন জ্বলে কামনা অনলে।
নিজেরে দহিয়ে , সবার হৃদয়ে,গেলে হে জ্বালিয়ে শেষ বিদায়ে।
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
Monday, May 24, 2010
ওচেনা
জানি না তোমায় নতুন অতিথি কেমনে বরিয়া লব ।
বুঝি না অচেনা নয়ন মোহন, কোন সে গানে তুষিব ।
তবু কেন মনে হয়, বহু জনমের পরিচয়
অন্থীন পথে ছিনু মোরা সাথী দেখা জলো পূন নব ।
স্মৃতির সে সুরভিতে বিহ্বল বিবশ চিতে
পারিনি অঞ্জলি দিতে প্রদীপ মালা সাজাতে
অপরাধ মোর ক্ষম বন্ধু হে প্রিয়তম
দীনতা আমার পরশে তোমার হবে অতুল বৈভব ।।
আলিপুদুয়ার , ২৬/৪/১৯৮৩
বুঝি না অচেনা নয়ন মোহন, কোন সে গানে তুষিব ।
তবু কেন মনে হয়, বহু জনমের পরিচয়
অন্থীন পথে ছিনু মোরা সাথী দেখা জলো পূন নব ।
স্মৃতির সে সুরভিতে বিহ্বল বিবশ চিতে
পারিনি অঞ্জলি দিতে প্রদীপ মালা সাজাতে
অপরাধ মোর ক্ষম বন্ধু হে প্রিয়তম
দীনতা আমার পরশে তোমার হবে অতুল বৈভব ।।
আলিপুদুয়ার , ২৬/৪/১৯৮৩
Sunday, May 23, 2010
প্রেম
বিশ্বাস করতে কষট হয়,বুকে শূন্যতা জমে,পাঁজরও ভাঙ্গে
অথবা একটা উদ্দাম উচ্ছাস্বের অপমৃত্যু বেদনা দেয়;
“প্রেম অরথহীন উ্ন্মাদনা “,রঙ্গিন নরম আবেগের মোড়কে একটা নিরমম
ছলনা,অথবা বঞ্চনার ইতিবৃত্ত, যার শুরু নিজেকে নিয়ে আর শেষ
প্রতারনা অন্যকে।আত্ম-অবলুপ্তির মাঝে বিরোধের মারাত্মক বীজ।
স্বাতন্ত্রের শ্বাশত সৌ্নদরয্যে বাসা বাঁধেঘৃ্নিত কীট।
তবুও আত্ম ধ্বংসে অন্যের হৃদয়ে পিরামিড গড়ি বাঁচার তাগিদে-
যার নাম প্রেম ।
মাল, ২৭/৩/১৯৮৩
অথবা একটা উদ্দাম উচ্ছাস্বের অপমৃত্যু বেদনা দেয়;
“প্রেম অরথহীন উ্ন্মাদনা “,রঙ্গিন নরম আবেগের মোড়কে একটা নিরমম
ছলনা,অথবা বঞ্চনার ইতিবৃত্ত, যার শুরু নিজেকে নিয়ে আর শেষ
প্রতারনা অন্যকে।আত্ম-অবলুপ্তির মাঝে বিরোধের মারাত্মক বীজ।
স্বাতন্ত্রের শ্বাশত সৌ্নদরয্যে বাসা বাঁধেঘৃ্নিত কীট।
তবুও আত্ম ধ্বংসে অন্যের হৃদয়ে পিরামিড গড়ি বাঁচার তাগিদে-
যার নাম প্রেম ।
মাল, ২৭/৩/১৯৮৩
Saturday, May 22, 2010
শব্দ
শব্দের সাথে আমার চিরন্তন বিরোধ,
বন্ধ্যা বোবা আক্রোশে শুধু রক্তাক্ত হই ।কল্পনার রঙ্গে ছোপানো নামে
গৌর পটলের শূন্যতা, কৃ্ত্তিমতায় ভরা। চেনা শুনা শব্দগুলো অপরিচয়ের
কাপড় ঢেকে দ্রুত পায়ে সরে সরে যায় ।আকাশ পৃ্থিবী ভালবাসা
সব কুয়াশা মাখা।এতদিন যাদের নিয়ে মত্ত ছিনু উদ্দাম খেলায়,
আজি হায় ! মৃত শিলার মত পথের পাশে মুখ বুজে রয়,সাড়া নাহি দেয়।
নিঝুম শশ্মান থেকে বিহ্বল এলোকেশে উঠে এসে মলিন হেসে সমুখে দাঁড়ালে তুমি।
হারানো মধুর সুরে চেনা গলায় দেকে উঠি “মা” তুমি ! সব রঙে
সাজানো যাইয় তোমায় , নারী কন্যা ,প্রেয়সী,ভারয্যা-মা,
নিশ্বে তুমি অনিন্দ্য সুন্দর নিরুপমা।পূরনতার প্রতিমা হেরি সবাকার মাঝে।
কীট,পাখী,বৃক্ষলতা আকাশ নদী পাহাড় আর জীবনের প্রতিটি অনূ,
তোমার মুখের ছবি, যেন সৃষ্টির বেদনা-আনন্দ মেখে ঘুমিয়ে আছে।
আমার সরবাঙ্গ ঘিরে তোমার অচ্ছেদ্দ্য অদৃশ্য অস্তিত্ব,বিশৃঙখ্ল জীবনের
উতকট কোলাহলে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
মানসী প্রীয়া আমার, “ম” সেজে এসো আরবার।শব্দের শৃঙখল খুলে
চির চেনা রূপে হৃদয়ে বসো তুমে মমতাময়ী;
স্নেহে প্রেমের ক্রুনাধারায় নিত্য স্নান করাও আমায়।
মাল। ২৮/৩/১৯৮৩
বন্ধ্যা বোবা আক্রোশে শুধু রক্তাক্ত হই ।কল্পনার রঙ্গে ছোপানো নামে
গৌর পটলের শূন্যতা, কৃ্ত্তিমতায় ভরা। চেনা শুনা শব্দগুলো অপরিচয়ের
কাপড় ঢেকে দ্রুত পায়ে সরে সরে যায় ।আকাশ পৃ্থিবী ভালবাসা
সব কুয়াশা মাখা।এতদিন যাদের নিয়ে মত্ত ছিনু উদ্দাম খেলায়,
আজি হায় ! মৃত শিলার মত পথের পাশে মুখ বুজে রয়,সাড়া নাহি দেয়।
নিঝুম শশ্মান থেকে বিহ্বল এলোকেশে উঠে এসে মলিন হেসে সমুখে দাঁড়ালে তুমি।
হারানো মধুর সুরে চেনা গলায় দেকে উঠি “মা” তুমি ! সব রঙে
সাজানো যাইয় তোমায় , নারী কন্যা ,প্রেয়সী,ভারয্যা-মা,
নিশ্বে তুমি অনিন্দ্য সুন্দর নিরুপমা।পূরনতার প্রতিমা হেরি সবাকার মাঝে।
কীট,পাখী,বৃক্ষলতা আকাশ নদী পাহাড় আর জীবনের প্রতিটি অনূ,
তোমার মুখের ছবি, যেন সৃষ্টির বেদনা-আনন্দ মেখে ঘুমিয়ে আছে।
আমার সরবাঙ্গ ঘিরে তোমার অচ্ছেদ্দ্য অদৃশ্য অস্তিত্ব,বিশৃঙখ্ল জীবনের
উতকট কোলাহলে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
মানসী প্রীয়া আমার, “ম” সেজে এসো আরবার।শব্দের শৃঙখল খুলে
চির চেনা রূপে হৃদয়ে বসো তুমে মমতাময়ী;
স্নেহে প্রেমের ক্রুনাধারায় নিত্য স্নান করাও আমায়।
মাল। ২৮/৩/১৯৮৩
বেচে থাকা
অথরব্য নিষকরমা বূড়োটা শুধু নিষেধের কাঁকর ছড়ায়
চলার পথে।নীতির আফিং খেয়ে রাআতদিন রঙ্গিন আকেঁ
পুরানো কাঁথায় ।অনাদৃত আন্ধ কোনে ছায়া শরীরে ,
অদ্ভুত চোখ দিটি জ্বল জ্বল করে ।অবুঝ জেদী সেই
ভয়ংকর রহস্যময় লোক্টাকে বোঝাতে পারিনি; কুতসিত আদরশের
ঊচ্ছিট্টে জীবন বাঁচে না অথবা মৃত অতীতে কোন সুখ নেই ।
ভবিষ্যত আছে তাই বেঁচে রহাকা এত মনোরম ।
তার বন্ধ্যা ঊপদেশ আমায় ঊদ্ভ্রান্ত বেপথু করে ।
ঊদ্দাম বিপদজনক বাঁচার তৃষ্ণায় আমি ছট ফট করি
কাঁচ-পোকার মত।
মাল, ২৮/৩/১৯৮৩
চলার পথে।নীতির আফিং খেয়ে রাআতদিন রঙ্গিন আকেঁ
পুরানো কাঁথায় ।অনাদৃত আন্ধ কোনে ছায়া শরীরে ,
অদ্ভুত চোখ দিটি জ্বল জ্বল করে ।অবুঝ জেদী সেই
ভয়ংকর রহস্যময় লোক্টাকে বোঝাতে পারিনি; কুতসিত আদরশের
ঊচ্ছিট্টে জীবন বাঁচে না অথবা মৃত অতীতে কোন সুখ নেই ।
ভবিষ্যত আছে তাই বেঁচে রহাকা এত মনোরম ।
তার বন্ধ্যা ঊপদেশ আমায় ঊদ্ভ্রান্ত বেপথু করে ।
ঊদ্দাম বিপদজনক বাঁচার তৃষ্ণায় আমি ছট ফট করি
কাঁচ-পোকার মত।
মাল, ২৮/৩/১৯৮৩
শূন্যতা
আমি মহত হবো বা এমনই কোন স্ত সঙ্কল্প
নিরভেজাল গরবে ভরা ফানিসের মত অনৈতিক- ভয়ঙ্কর অশ্লীল।
জন্ম যার বন্ধ্যা ঊচ্ছ্বাসে , রূদ্ধ হয় সকল দূয়ার। অহেতুক
শত্রু বাড়াবার সাধ নেই তাই যেমন ভালো হতে পারি না,
মন্দ জিনিস মহাঘ্র্য বলেই , তেমনই বিরক্তিকর হওয়া যায় না।
যা আছি তাই সেজেই কাটাতে হয় গোটা জীবন।
হাজার চুনকামেও অসংখ্য ছিদ্রগুলো ভরাট হয়না/
দিসনরড চেক কেটে প্রশান্তির আবীর মাখি শূন্য ব্যাঙ্কে ।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
নিরভেজাল গরবে ভরা ফানিসের মত অনৈতিক- ভয়ঙ্কর অশ্লীল।
জন্ম যার বন্ধ্যা ঊচ্ছ্বাসে , রূদ্ধ হয় সকল দূয়ার। অহেতুক
শত্রু বাড়াবার সাধ নেই তাই যেমন ভালো হতে পারি না,
মন্দ জিনিস মহাঘ্র্য বলেই , তেমনই বিরক্তিকর হওয়া যায় না।
যা আছি তাই সেজেই কাটাতে হয় গোটা জীবন।
হাজার চুনকামেও অসংখ্য ছিদ্রগুলো ভরাট হয়না/
দিসনরড চেক কেটে প্রশান্তির আবীর মাখি শূন্য ব্যাঙ্কে ।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
সভা
প্রতিবাদ অসহ্য,যতই মিস্টি করে,মৌ্মাছি সুরে,রঙ্গিন মোড়কে পরিবেশিত হোক।
সবাই কিছু না কিছু বলতে চায়, অথচ একাগ্র স্রোতার অভাবে,বক্তার ঊতসাহে ভাঁটার টান।
এই নিরমম ঊদাসীন সংসারে, একমাত্র দেওয়ালেরই কান আছে
অথচ জিভ নেই প্রতিবাদ করার। ক্ষোভ অশান্তি দা্রিদ্র অনটন
আর হাজার বাস্নার নগ্ন হট্টগোলে,আমি ধীরে ধীরে নিড়ল দেয়াল
হয়ে যাই।কোন মিছিল,জন সমাবেশ বা পথ সভায়,আজ আর মানুষ দেখি না-
দেখি কান আর চোখ আঁকা বিরাট দেয়াল-
মঞ্চে কথা বলে ভূরত ময়াল ।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
সবাই কিছু না কিছু বলতে চায়, অথচ একাগ্র স্রোতার অভাবে,বক্তার ঊতসাহে ভাঁটার টান।
এই নিরমম ঊদাসীন সংসারে, একমাত্র দেওয়ালেরই কান আছে
অথচ জিভ নেই প্রতিবাদ করার। ক্ষোভ অশান্তি দা্রিদ্র অনটন
আর হাজার বাস্নার নগ্ন হট্টগোলে,আমি ধীরে ধীরে নিড়ল দেয়াল
হয়ে যাই।কোন মিছিল,জন সমাবেশ বা পথ সভায়,আজ আর মানুষ দেখি না-
দেখি কান আর চোখ আঁকা বিরাট দেয়াল-
মঞ্চে কথা বলে ভূরত ময়াল ।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
চাওয়া
আকাক্ষার দুরনিবার স্রোত অন্তসলিলা ফল্গু ধারায় বয়ে চলে নিরবিছিন্ন ভাবে;
নিত্য নতুন প্রাপ্তির বাঁকে, ক্ষনিক থমকে থেকে,আবার ছুটে যায় দ্বিগুন উতসাহে।
বাড়তি রক্ত শিরায় শিরায়, কামনার আগুন জ্বালায়,বস্তুর ছোট খাটো পারথক্য।
মুছে গিয়ে অনিন্দ্য মূরতি-ধরে সামনে দাঁড়ায়,ঠিক যেন প্রতিচ্ছবির ঐক্য।
একাগ্রতা শুধু চাওয়ার পানে,পুনঃ পুনঃ প্রাপ্তির সম্ভারে,তাই ছোট্ট জীবন ঝাঁপি
ভরে ওঠে ধীরে ধীরে বাতাসের ঢেঊ লেগে শিখা আনন্দে ওঠে কাঁপি।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
নিত্য নতুন প্রাপ্তির বাঁকে, ক্ষনিক থমকে থেকে,আবার ছুটে যায় দ্বিগুন উতসাহে।
বাড়তি রক্ত শিরায় শিরায়, কামনার আগুন জ্বালায়,বস্তুর ছোট খাটো পারথক্য।
মুছে গিয়ে অনিন্দ্য মূরতি-ধরে সামনে দাঁড়ায়,ঠিক যেন প্রতিচ্ছবির ঐক্য।
একাগ্রতা শুধু চাওয়ার পানে,পুনঃ পুনঃ প্রাপ্তির সম্ভারে,তাই ছোট্ট জীবন ঝাঁপি
ভরে ওঠে ধীরে ধীরে বাতাসের ঢেঊ লেগে শিখা আনন্দে ওঠে কাঁপি।
মাল, ২৭।৩।১৯৮৩
Wednesday, May 19, 2010
অস্তিত্ব্ব
্নামের লকেট ঝুলিয়ে নিসংগতার ফসল বুনি,সীমাহীন হৃদয় বেলায় ।
স্বাতন্ত্রের বেড়াজালে ,বন্দী আত্মার বিলাপ, নীরব আঁধারে ডুবে যায়।
ভাঙ্গা ডালে জল ঢালি অথবা ড্যামের কিনারে অপেক্ষায় কাটাই প্রহর ।
কোন রঙ্গিন ফুলের আর নূহের ঢলের মুছে দিতে সীমার প্রাকার।
ফুলকে ফুল ডাকলে, মানুষকে শুধুই মানুষ,কেউ ফিরে তাকায় না।
ডানা ভেঙ্গে মূক্ত পাখীরে, সোনার খাঁভায় পুরে, খুশীতে ডেকে উঠি ময়না।
বিরাটের অন্থীন মিছিলে, ভগ্ন অস্তিত্ব নিয়ে সমতার জয়গান-
মূঢ বিজ্ঞ হাসিকে,ব্যাঙ্গের শানিত ছরায় নিয়ত করে খান খান।
অহমিকার গগলস এটে প্রিচিত জগত দেখি বিচিত্র আমির দল;
ডম্ভের তুব্দি ফোটায়, রঙের ফানুস উদায় আকাশ ভরে মহারোল।
আমি আমি মহা মেলায়, নামহীন ছোট্ট দলে নিঃশব্দে মিশে যেতে চাই-
বিব্রন পুরানো জামার অরথহীন ভালবাসা কতকাল বয়ে বেড়াই?
মাল বাজার, ২৭/৪/১৯৮৩
স্বাতন্ত্রের বেড়াজালে ,বন্দী আত্মার বিলাপ, নীরব আঁধারে ডুবে যায়।
ভাঙ্গা ডালে জল ঢালি অথবা ড্যামের কিনারে অপেক্ষায় কাটাই প্রহর ।
কোন রঙ্গিন ফুলের আর নূহের ঢলের মুছে দিতে সীমার প্রাকার।
ফুলকে ফুল ডাকলে, মানুষকে শুধুই মানুষ,কেউ ফিরে তাকায় না।
ডানা ভেঙ্গে মূক্ত পাখীরে, সোনার খাঁভায় পুরে, খুশীতে ডেকে উঠি ময়না।
বিরাটের অন্থীন মিছিলে, ভগ্ন অস্তিত্ব নিয়ে সমতার জয়গান-
মূঢ বিজ্ঞ হাসিকে,ব্যাঙ্গের শানিত ছরায় নিয়ত করে খান খান।
অহমিকার গগলস এটে প্রিচিত জগত দেখি বিচিত্র আমির দল;
ডম্ভের তুব্দি ফোটায়, রঙের ফানুস উদায় আকাশ ভরে মহারোল।
আমি আমি মহা মেলায়, নামহীন ছোট্ট দলে নিঃশব্দে মিশে যেতে চাই-
বিব্রন পুরানো জামার অরথহীন ভালবাসা কতকাল বয়ে বেড়াই?
মাল বাজার, ২৭/৪/১৯৮৩
জীবন
সেই প্রথম ! কোন সকালে, তন্দ্রার কাজল চোখে
কুয়াষা ঘোমটা ঢাকা, কুহকী নদী জলে স্নান।
অঙ্গের নৃ্ত্য ছন্দে কামনার হাতছানি
দূরন্ত আবাহনের অস্ফুট রাগিনী, হৃদয় নৈবেদ্য হয়ে আছডে পডে
বার বার। রহস্য ঘেরা দ্বার ব্রনালী আলোকে,
স্বপ্নের জাল বোনে প্রতিটি পলকে,লোভের মোহিনী হাসি-
তোলে ঝঙ্কার। কোন দুরনিবার টানে শঙ্কিত চরনে,
আনন্দ ভৈ্রবী সুরে দ্বিধা থরো মনে, কল্পনার বাসর রচি অচেনার মাঝে;
আমি-হারা হয়ে যাই নিমগ্ন আঁধারে, সেই প্রথম ঝিনুক
অভিজ্ঞতার ঘরে,তারপর বারবার দুব সাঁতার কেটে
দিনের গ্লানি মুছি বিব্রন কাগজে। নদী ফুল নারী অথবা উচ্ছ্বাস
অনিত্য জীবন ঘাটে ফেলে দীরঘ শ্বাস।
মাল বাজার, ২৭/৪/১৯৮৩
কুয়াষা ঘোমটা ঢাকা, কুহকী নদী জলে স্নান।
অঙ্গের নৃ্ত্য ছন্দে কামনার হাতছানি
দূরন্ত আবাহনের অস্ফুট রাগিনী, হৃদয় নৈবেদ্য হয়ে আছডে পডে
বার বার। রহস্য ঘেরা দ্বার ব্রনালী আলোকে,
স্বপ্নের জাল বোনে প্রতিটি পলকে,লোভের মোহিনী হাসি-
তোলে ঝঙ্কার। কোন দুরনিবার টানে শঙ্কিত চরনে,
আনন্দ ভৈ্রবী সুরে দ্বিধা থরো মনে, কল্পনার বাসর রচি অচেনার মাঝে;
আমি-হারা হয়ে যাই নিমগ্ন আঁধারে, সেই প্রথম ঝিনুক
অভিজ্ঞতার ঘরে,তারপর বারবার দুব সাঁতার কেটে
দিনের গ্লানি মুছি বিব্রন কাগজে। নদী ফুল নারী অথবা উচ্ছ্বাস
অনিত্য জীবন ঘাটে ফেলে দীরঘ শ্বাস।
মাল বাজার, ২৭/৪/১৯৮৩
Tuesday, May 18, 2010
মিছিল
পাথর ছুড়লেই, প্রতিবাদে সোচ্চার হয়,প্রতিরোধে ভেংচি কাটে অথবা-
চিতকারে বেদনা জানায়, রাস্তার বেওয়ারিশ ঘিয়ে ভাজা ক্ষুধারত
কুকুরটাও-অথচ আমরা যারা-চারটে পা নেই আর মাথাটা
ঘাড়ের উপরে বসানো বলেই গরব বোধ করি; বুদ্ধিমানের মত
সব উচ্ছিট্ট অপমান,হাজার অত্যাচার মুখ বুজে মাথায় তুলে নিই
প্রসন্ন বদনে অথবা গুপ্ত মন্ত্রনা কক্ষে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ আটি আর মিছিলে
শৃগালের ঐক্যতানে ভেঙ্গে দিই শাসকের প্রাসাদ, যে অন্ধকারে হামাগুড়ি
দিয়ে চলে নেতার নৈশ অভিসার; ঐত্যিহ্যের রক্ত বসন জড়ায়
বিভীতস গলিত গায়। মুখোশের অন্তরালে প্রতিশ্রুতির স্মৃতিরা ঢাকা পড়ে
চিরদিনের মত। ঘৃ্নিত অতীত আবার কবর ছেড়ে উঠে আসে
বরতমানের থালায়,ঠিক অবিকল নৈবেদ্য হয়ে
হাজার বছরের ইতিহাসের পাতায়।
মাল বাজার,১১/৪/১৯৮৩
চিতকারে বেদনা জানায়, রাস্তার বেওয়ারিশ ঘিয়ে ভাজা ক্ষুধারত
কুকুরটাও-অথচ আমরা যারা-চারটে পা নেই আর মাথাটা
ঘাড়ের উপরে বসানো বলেই গরব বোধ করি; বুদ্ধিমানের মত
সব উচ্ছিট্ট অপমান,হাজার অত্যাচার মুখ বুজে মাথায় তুলে নিই
প্রসন্ন বদনে অথবা গুপ্ত মন্ত্রনা কক্ষে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ আটি আর মিছিলে
শৃগালের ঐক্যতানে ভেঙ্গে দিই শাসকের প্রাসাদ, যে অন্ধকারে হামাগুড়ি
দিয়ে চলে নেতার নৈশ অভিসার; ঐত্যিহ্যের রক্ত বসন জড়ায়
বিভীতস গলিত গায়। মুখোশের অন্তরালে প্রতিশ্রুতির স্মৃতিরা ঢাকা পড়ে
চিরদিনের মত। ঘৃ্নিত অতীত আবার কবর ছেড়ে উঠে আসে
বরতমানের থালায়,ঠিক অবিকল নৈবেদ্য হয়ে
হাজার বছরের ইতিহাসের পাতায়।
মাল বাজার,১১/৪/১৯৮৩
খোজ
যেতে চাই অন্য কোথাও অন্য কোন খানে,
ভাঙ্গা ্ডানার করুন বিলাপ শুনে।বাসি কাঁচা মাংসের
নিরলজ্জ বিজ্ঞাপনে , সরবনাশা প্রথমার দুরনিবার আবাহনে-
শ্বাসরোধী ঘৃ্ন্য এ পরিবেশ থেকে,কতদিন রইব ব্লো মুখ ঢেকে,
নিরলজ্জ বেসাতি হেথা জমায় আসর,কেহ নয় আত্মপর কেহ বা দোসর।
লোভের চিতা জ্বলে প্রতি প্রাঙ্গনে , ধায় সবে সীমাহীন চিওয়ার পানে।
জনে জনে শুধাই আমি কাতর সুরে,”কোথা যাবো আমি,কোন মধুপুরে?”
নিঠুর দরদীর সেই ঠিকানা, অভিমানে বহুদিন মুখে আনিনা।
উদাসীন জনতার ব্যস্ততার মাঝে, নিরুত্ত্র জিজ্ঞাসা পথ খোঁজে।
জানি পথ নিয়ে যাবে ক্লান্ত পথিকেরে,বন্দিনী প্রিয়া মোর রয়েছে যে ঘরে।
মাল বাজার, ১৬/৩/১৯৮৩
ভাঙ্গা ্ডানার করুন বিলাপ শুনে।বাসি কাঁচা মাংসের
নিরলজ্জ বিজ্ঞাপনে , সরবনাশা প্রথমার দুরনিবার আবাহনে-
শ্বাসরোধী ঘৃ্ন্য এ পরিবেশ থেকে,কতদিন রইব ব্লো মুখ ঢেকে,
নিরলজ্জ বেসাতি হেথা জমায় আসর,কেহ নয় আত্মপর কেহ বা দোসর।
লোভের চিতা জ্বলে প্রতি প্রাঙ্গনে , ধায় সবে সীমাহীন চিওয়ার পানে।
জনে জনে শুধাই আমি কাতর সুরে,”কোথা যাবো আমি,কোন মধুপুরে?”
নিঠুর দরদীর সেই ঠিকানা, অভিমানে বহুদিন মুখে আনিনা।
উদাসীন জনতার ব্যস্ততার মাঝে, নিরুত্ত্র জিজ্ঞাসা পথ খোঁজে।
জানি পথ নিয়ে যাবে ক্লান্ত পথিকেরে,বন্দিনী প্রিয়া মোর রয়েছে যে ঘরে।
মাল বাজার, ১৬/৩/১৯৮৩
প্রতিশ্রূতি
প্রতিশ্রুতি বদ্ধ আমি জনম লগনে
তারপর অঙ্গীকার সশপথ বরষায় দুবে গেছি অতলান্ত নৈঃশব্দের গানে,
যেমন তরঙ্গমালা অস্ত্বিত্ব হারায় । নিমগ্ন মৈ্নাকের নিস্প্রান কপাটে
প্রতীক্ষিত উন্মত্ত শব্দের মিছিল, আক্রোষে অবি্রত শুধু মাথা কোটে
ঘূনধরা আমি যেন বিবরন ফসিল।বিস্মরনেরকালো মেঘে আমার আকাশ
ভরে অঠে হাহাকারে, প্রলয় বিষানে শুনিতেছি মহাকালের নৃ্ত্য উচ্ছ্বাস,
ধাবিত গৃ্ধিনী ভোজের নিমন্ত্রনে।ঘৃ্নিত মরন জানি পশুর সমান
শৃঙখলিত অগৌ্রব জনম মরনে, আবার যদি আসি ফিরে এ ভূবন,
ব্রতী হবো সেই অঙ্গীকার পালনে। ভিন্ন্রূপে অন্য কালে এই অঙ্গীকার
স্মৃতির বীনায় যেন তোলে ঝঙ্কার । ভুলিতে দিও না প্রিয় অবহেলা ভরে
মধুর শাসন খড়্গে সব অবসাদ, নিরমম আঘাতে যেন ধ্বংস করে,
ঘটে যদি আরবার কোন পরমাদ। রিক্ততায় জন্ম নেয় বিক্ষুব্ধ বাতাস
বাঁচার রসদ জোগায় গঘীত ঋন, বিক্রীত অস্তিত্বের ভার কবে হে উদাস
তোমার চরন তলে হবে বিলীন?করমহীন অনাসৃষ্টির পাথর ভার
পরশে তোমার হোক ফুল উপহার।
মাল বাজার, ১৬/৫/১৯৮৩
তারপর অঙ্গীকার সশপথ বরষায় দুবে গেছি অতলান্ত নৈঃশব্দের গানে,
যেমন তরঙ্গমালা অস্ত্বিত্ব হারায় । নিমগ্ন মৈ্নাকের নিস্প্রান কপাটে
প্রতীক্ষিত উন্মত্ত শব্দের মিছিল, আক্রোষে অবি্রত শুধু মাথা কোটে
ঘূনধরা আমি যেন বিবরন ফসিল।বিস্মরনেরকালো মেঘে আমার আকাশ
ভরে অঠে হাহাকারে, প্রলয় বিষানে শুনিতেছি মহাকালের নৃ্ত্য উচ্ছ্বাস,
ধাবিত গৃ্ধিনী ভোজের নিমন্ত্রনে।ঘৃ্নিত মরন জানি পশুর সমান
শৃঙখলিত অগৌ্রব জনম মরনে, আবার যদি আসি ফিরে এ ভূবন,
ব্রতী হবো সেই অঙ্গীকার পালনে। ভিন্ন্রূপে অন্য কালে এই অঙ্গীকার
স্মৃতির বীনায় যেন তোলে ঝঙ্কার । ভুলিতে দিও না প্রিয় অবহেলা ভরে
মধুর শাসন খড়্গে সব অবসাদ, নিরমম আঘাতে যেন ধ্বংস করে,
ঘটে যদি আরবার কোন পরমাদ। রিক্ততায় জন্ম নেয় বিক্ষুব্ধ বাতাস
বাঁচার রসদ জোগায় গঘীত ঋন, বিক্রীত অস্তিত্বের ভার কবে হে উদাস
তোমার চরন তলে হবে বিলীন?করমহীন অনাসৃষ্টির পাথর ভার
পরশে তোমার হোক ফুল উপহার।
মাল বাজার, ১৬/৫/১৯৮৩
Monday, May 17, 2010
প্রতীক্ষা
আমিও ঝরে পড়া কোন অশ্রুর মত বুভুক্ষউ প্রান্তরে প্রোথিত অতল গুহায়
বন্দীত্বের হাহাকার প্রতদ্ধ্বনি তুলে,আমার অস্বিত্ব ঘূন ধরায়।
অদূরে সাগরের প্রনয় উচ্ছ্বাস আর সীমার ক্রন্সন,অকুল আঘাতে কূল
আকুলি ওঠে, আমারো হৃদয়ে তাই কুসুম ফোটে ,তন্দ্রা হারা জেগে আছি একেলায়,
দিন গুলি সাগর সঙ্গমের প্রত্যাশায়।জানি একদিন প্রভাত বেলায়,
কায়াহীন অনন্ত পিপাসায়, মন্দাকিনী শান্তি পারাবার
রচিবে নিভৃতে প্রনয় বাসর। শুধু সেই মধু লগন লাগি
দিবানিশি নিরজনে আছি জাগি।
ওদলাবাড়ী, ১৫/৩/১৯৮৩
বন্দীত্বের হাহাকার প্রতদ্ধ্বনি তুলে,আমার অস্বিত্ব ঘূন ধরায়।
অদূরে সাগরের প্রনয় উচ্ছ্বাস আর সীমার ক্রন্সন,অকুল আঘাতে কূল
আকুলি ওঠে, আমারো হৃদয়ে তাই কুসুম ফোটে ,তন্দ্রা হারা জেগে আছি একেলায়,
দিন গুলি সাগর সঙ্গমের প্রত্যাশায়।জানি একদিন প্রভাত বেলায়,
কায়াহীন অনন্ত পিপাসায়, মন্দাকিনী শান্তি পারাবার
রচিবে নিভৃতে প্রনয় বাসর। শুধু সেই মধু লগন লাগি
দিবানিশি নিরজনে আছি জাগি।
ওদলাবাড়ী, ১৫/৩/১৯৮৩
সাধ
দূরত্ব নৈকট্য আনে ,যখন প্রেম অঙ্কুরিত হয় হৃদয় কাননে।
সেদিন বিদায় বিধূর লগনে সাগিল ধরনী কৃষ্ণ কালো বসনে,
নিষপেশিত রক্তিমাভা অধর পুটে,কনক চাঁপার বুকে উঠলো ফুটে,
কম্পিত স্ফুরিত গ্রবিত পাখনায়,দূরন্ত বৈশাখী কামনায়।
বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবনের জোয়ারে,ডুবে গেছে আখি তারা শুধু বারে বারে।
সিক্ত অঞ্চল তলে তাপিত হৃদয়, সতত মঙ্গল সংখ সরবে বাজায়।
ছেড়ে দিতে ছিঁড়ে যায় তবু হায়,সপ্ত সুরের হাহাকারে লইনু বিদায়।
খোলা বাতায়নে বিষাদ পরানে,রহিনু দাঁড়ায়ে তৃষিত নয়নে।
ীলো মেলো তরঙ্গ মালার পরে,ভাসিছে আঁখি দুটি প্রেমের নীরে ।
যত দূরে যাই তবু মনে হয়, রয়েছো জাগিয়া নিত্য প্রহরায় ।
আমারে ঘিরিয়া আজো সজল নয়ন,সকল দঃখ জ্বালা করিছে হরন ।
স্নেহ-প্রেম-মমতায়নিত্য সহচরী, শয়প্নে স্বপনে সেই {মায়াবী} মুরতি হেরি ।
করমহীন বিবরন অলস প্রহর একা একা খুজে পাই প্রানের দোসর।
যেদিকে ফিরাই আখি তোমারে দেখি,আঁখিতে আঁখি রাখি আঁখি আঁকি ।
দেক্ষার নয়ন যদি কভু দৃস্টি হারায়, সাধ মোর ও চোখে যেন জেগে রয়।
উদলাবাড়ী, ১৫।৩।১৯৮৩
সেদিন বিদায় বিধূর লগনে সাগিল ধরনী কৃষ্ণ কালো বসনে,
নিষপেশিত রক্তিমাভা অধর পুটে,কনক চাঁপার বুকে উঠলো ফুটে,
কম্পিত স্ফুরিত গ্রবিত পাখনায়,দূরন্ত বৈশাখী কামনায়।
বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবনের জোয়ারে,ডুবে গেছে আখি তারা শুধু বারে বারে।
সিক্ত অঞ্চল তলে তাপিত হৃদয়, সতত মঙ্গল সংখ সরবে বাজায়।
ছেড়ে দিতে ছিঁড়ে যায় তবু হায়,সপ্ত সুরের হাহাকারে লইনু বিদায়।
খোলা বাতায়নে বিষাদ পরানে,রহিনু দাঁড়ায়ে তৃষিত নয়নে।
ীলো মেলো তরঙ্গ মালার পরে,ভাসিছে আঁখি দুটি প্রেমের নীরে ।
যত দূরে যাই তবু মনে হয়, রয়েছো জাগিয়া নিত্য প্রহরায় ।
আমারে ঘিরিয়া আজো সজল নয়ন,সকল দঃখ জ্বালা করিছে হরন ।
স্নেহ-প্রেম-মমতায়নিত্য সহচরী, শয়প্নে স্বপনে সেই {মায়াবী} মুরতি হেরি ।
করমহীন বিবরন অলস প্রহর একা একা খুজে পাই প্রানের দোসর।
যেদিকে ফিরাই আখি তোমারে দেখি,আঁখিতে আঁখি রাখি আঁখি আঁকি ।
দেক্ষার নয়ন যদি কভু দৃস্টি হারায়, সাধ মোর ও চোখে যেন জেগে রয়।
উদলাবাড়ী, ১৫।৩।১৯৮৩
Saturday, May 15, 2010
আশা
চৌকাঠে রঙ্গীন নুডি বিছিয়ে কতদিন রক্তাক্ত করেছ চরন
অশান্ত পথিকের মত। বিশ্বাসে ফাটল ধরেছে তবু
নতুন পাথর কুড়িয়েছো বার বার; কুমারী পৃথিবীর বুক
আশায় উন্মুখ , হায় !বৃথা চৌচির বেহিসেবী ফলার আঘাতে,
শুন্য গরভ ভ্রুনের আশায় । তাই বুঝি আজ স্বেচ্ছাবন্দী
পাষান কারায়, বন্ধ করি সকল দুয়ার,
পুরানো সে ক্ষত যদি কভু মিথ্যা আশায় আবার
সরবাঙ্গে রক্ত ঝরায় ।স্মৃতির দুয়ারে পিঠ দিয়ে,
দিনের গ্লানি মোছও জীরন আঁচলে
পূরনতার প্রস্তুতি সব শূন্যে মিলায়।
মাল ১৪।৩।১৯৮৩
অশান্ত পথিকের মত। বিশ্বাসে ফাটল ধরেছে তবু
নতুন পাথর কুড়িয়েছো বার বার; কুমারী পৃথিবীর বুক
আশায় উন্মুখ , হায় !বৃথা চৌচির বেহিসেবী ফলার আঘাতে,
শুন্য গরভ ভ্রুনের আশায় । তাই বুঝি আজ স্বেচ্ছাবন্দী
পাষান কারায়, বন্ধ করি সকল দুয়ার,
পুরানো সে ক্ষত যদি কভু মিথ্যা আশায় আবার
সরবাঙ্গে রক্ত ঝরায় ।স্মৃতির দুয়ারে পিঠ দিয়ে,
দিনের গ্লানি মোছও জীরন আঁচলে
পূরনতার প্রস্তুতি সব শূন্যে মিলায়।
মাল ১৪।৩।১৯৮৩
ঈগলু
আকাশ ঈগলুতে বাসর গড়ি
প্রেমের পশমী শয্যায় যত্থেচ্ছ বিহার,
একই বৃত্ত ভাঙ্গা গড়া হাজার বার,
অবগাহন অধরের হাসি ঝরনায় নিঃশব্দ তন্ময় আবেশে।
গরবিনী হাস্নুহানা আর এক নিরমম ব্যাধ –ব্যস
আমার ক্লিস্ট কল্পনায় আর সব কুয়াশা ঢাকা ইচীন পাহাড়।
যত দূরে যাই দিগন্তের প্রাকারে , মোর ভাবনার অবুঝ শিশুরা
মাথা কোটে বোবা কান্নায়।
স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যত ঘিরে এক সে সুরের অনুরনন-
মাল বাজার, ১২।৩।১৯৮৩
প্রেমের পশমী শয্যায় যত্থেচ্ছ বিহার,
একই বৃত্ত ভাঙ্গা গড়া হাজার বার,
অবগাহন অধরের হাসি ঝরনায় নিঃশব্দ তন্ময় আবেশে।
গরবিনী হাস্নুহানা আর এক নিরমম ব্যাধ –ব্যস
আমার ক্লিস্ট কল্পনায় আর সব কুয়াশা ঢাকা ইচীন পাহাড়।
যত দূরে যাই দিগন্তের প্রাকারে , মোর ভাবনার অবুঝ শিশুরা
মাথা কোটে বোবা কান্নায়।
স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যত ঘিরে এক সে সুরের অনুরনন-
মাল বাজার, ১২।৩।১৯৮৩
Friday, May 14, 2010
সাধ
ভিখারীর স্প্রদ্ধা নিয়ে আমিও সাধ্য যাহা
অকাতরে দিতে চাই-একটু জাসি ,টুকরো সুখ-
হোক তা যতই মলিন ।অন্ধকারে সঙ্গোপনে শীতের
অকাল সকালে,যে ফুল দল মেলে ভীরূ কামনায়,
অনেক রঙের মেলায়,এক কোনে ঠাই যেন পায়,নহে গলায়,
শুধু চরন তলায়। তোমার অনাবিল অহৈতুকি করুনা ধারায়,
ভেসে যায় দানের শপথ-পত্রপূটে যাঞ্ছা করি অতুল বৈভব।
আজও বোঝাতে পারিনি, ভিখারীরও সাধ জাগে
ভূমিকা বদলের। অপুরন্য সে ইচ্ছা মোরে নিয়ত কাদায় ।
মাল্বাজার, ১০।৩।১৯৮৩
অকাতরে দিতে চাই-একটু জাসি ,টুকরো সুখ-
হোক তা যতই মলিন ।অন্ধকারে সঙ্গোপনে শীতের
অকাল সকালে,যে ফুল দল মেলে ভীরূ কামনায়,
অনেক রঙের মেলায়,এক কোনে ঠাই যেন পায়,নহে গলায়,
শুধু চরন তলায়। তোমার অনাবিল অহৈতুকি করুনা ধারায়,
ভেসে যায় দানের শপথ-পত্রপূটে যাঞ্ছা করি অতুল বৈভব।
আজও বোঝাতে পারিনি, ভিখারীরও সাধ জাগে
ভূমিকা বদলের। অপুরন্য সে ইচ্ছা মোরে নিয়ত কাদায় ।
মাল্বাজার, ১০।৩।১৯৮৩
সাধ আমার-তোমার মুখে ভাসা হয়ে ঝরে পডুক
নিরঝরিনীর মত।ভিজে মাটির গন্ধে বুক্টা ফুলে উঠুক,
নেচে উঠি শব্দলোভী ময়ুরের মত-এই সব ছোট ছোট চাওয়া
পাওয়ার চড়াই উতরাই ভেঙ্গে মানসের তীরে বসে স্মৃতির
জাবর কাটা আর লাটাই গুটানো,এই মুহূরতে তোমায় ঠিক মানায় না।
বরং একটা খোলা জানালা,তুলসী মঞ্চ,দুটি কচি শিশু আর সিদুর রাঙ্গানো
শূন্য শয্যা-এই চতুরভুজে নকশাটা খাপ খেয়ে যায়।করতব্য আর প্রেমের
দোটানায় বাক হারা বিহগী প্রায় ।“ দিন শেষে ক্লান্ত পাখী নীড় খোজে”-
এই অটল বিশ্বাস তোমার দেহের ভাজে। তবু স্কন্ধকাঁটা অবিশ্বাসী ভূতটা
অন্ধ কোনায়, একই নাটক করে শতবার একই অভিনয় ।মনে হয়
মতস্য চোখে ক্লান্ত শরীরে শায়িত কঠিন শয্যা পরে।
আশাহীন ভাষাহারা মোমের পুতুল, দেহ জ্বেল্ব গুনিতেছো ভূলের মাশূল।
অনুতাপ বহ্নি শিখায় কোমল কায়, গলিয়া ঝরিছে সদা বরফ প্রায়।
বানীহারা কথা জানি হৃদয় বেলায়,গভীর কোন কলঙ্ক রেখারেখে যায়।
সময়ের পলি ভেবে প্রাজ্ঞের মত, মিথ্যা কোদাল চালাই অবিরত
ক্ষতের পরিধি শুধু বেড়েই যায়,অব্যক্ত সাধ বুঝি ভাষা হারায় ।
মাল, ১৬।৩।১৯৮৩
নিরঝরিনীর মত।ভিজে মাটির গন্ধে বুক্টা ফুলে উঠুক,
নেচে উঠি শব্দলোভী ময়ুরের মত-এই সব ছোট ছোট চাওয়া
পাওয়ার চড়াই উতরাই ভেঙ্গে মানসের তীরে বসে স্মৃতির
জাবর কাটা আর লাটাই গুটানো,এই মুহূরতে তোমায় ঠিক মানায় না।
বরং একটা খোলা জানালা,তুলসী মঞ্চ,দুটি কচি শিশু আর সিদুর রাঙ্গানো
শূন্য শয্যা-এই চতুরভুজে নকশাটা খাপ খেয়ে যায়।করতব্য আর প্রেমের
দোটানায় বাক হারা বিহগী প্রায় ।“ দিন শেষে ক্লান্ত পাখী নীড় খোজে”-
এই অটল বিশ্বাস তোমার দেহের ভাজে। তবু স্কন্ধকাঁটা অবিশ্বাসী ভূতটা
অন্ধ কোনায়, একই নাটক করে শতবার একই অভিনয় ।মনে হয়
মতস্য চোখে ক্লান্ত শরীরে শায়িত কঠিন শয্যা পরে।
আশাহীন ভাষাহারা মোমের পুতুল, দেহ জ্বেল্ব গুনিতেছো ভূলের মাশূল।
অনুতাপ বহ্নি শিখায় কোমল কায়, গলিয়া ঝরিছে সদা বরফ প্রায়।
বানীহারা কথা জানি হৃদয় বেলায়,গভীর কোন কলঙ্ক রেখারেখে যায়।
সময়ের পলি ভেবে প্রাজ্ঞের মত, মিথ্যা কোদাল চালাই অবিরত
ক্ষতের পরিধি শুধু বেড়েই যায়,অব্যক্ত সাধ বুঝি ভাষা হারায় ।
মাল, ১৬।৩।১৯৮৩
সাধ
সাধ আমার-তোমার মুখে ভাসা হয়ে ঝরে পডুক
নিরঝরিনীর মত।ভিজে মাটির গন্ধে বুক্টা ফুলে উঠুক,
নেচে উঠি শব্দলোভী ময়ুরের মত-এই সব ছোট ছোট চাওয়া
পাওয়ার চড়াই উতরাই ভেঙ্গে মানসের তীরে বসে স্মৃতির
জাবর কাটা আর লাটাই গুটানো,এই মুহূরতে তোমায় ঠিক মানায় না।
বরং একটা খোলা জানালা,তুলসী মঞ্চ,দুটি কচি শিশু আর সিদুর রাঙ্গানো
শূন্য শয্যা-এই চতুরভুজে নকশাটা খাপ খেয়ে যায়।করতব্য আর প্রেমের
দোটানায় বাক হারা বিহগী প্রায় ।“ দিন শেষে ক্লান্ত পাখী নীড় খোজে”-
এই অটল বিশ্বাস তোমার দেহের ভাজে। তবু স্কন্ধকাঁটা অবিশ্বাসী ভূতটা
অন্ধ কোনায়, একই নাটক করে শতবার একই অভিনয় ।মনে হয়
মতস্য চোখে ক্লান্ত শরীরে শায়িত কঠিন শয্যা পরে।
আশাহীন ভাষাহারা মোমের পুতুল, দেহ জ্বেল্ব গুনিতেছো ভূলের মাশূল।
অনুতাপ বহ্নি শিখায় কোমল কায়, গলিয়া ঝরিছে সদা বরফ প্রায়।
বানীহারা কথা জানি হৃদয় বেলায়,গভীর কোন কলঙ্ক রেখারেখে যায়।
সময়ের পলি ভেবে প্রাজ্ঞের মত, মিথ্যা কোদাল চালাই অবিরত
ক্ষতের পরিধি শুধু বেড়েই যায়,অব্যক্ত সাধ বুঝি ভাষা হারায় ।
মাল, ১৬।৩।১৯৮৩
নিরঝরিনীর মত।ভিজে মাটির গন্ধে বুক্টা ফুলে উঠুক,
নেচে উঠি শব্দলোভী ময়ুরের মত-এই সব ছোট ছোট চাওয়া
পাওয়ার চড়াই উতরাই ভেঙ্গে মানসের তীরে বসে স্মৃতির
জাবর কাটা আর লাটাই গুটানো,এই মুহূরতে তোমায় ঠিক মানায় না।
বরং একটা খোলা জানালা,তুলসী মঞ্চ,দুটি কচি শিশু আর সিদুর রাঙ্গানো
শূন্য শয্যা-এই চতুরভুজে নকশাটা খাপ খেয়ে যায়।করতব্য আর প্রেমের
দোটানায় বাক হারা বিহগী প্রায় ।“ দিন শেষে ক্লান্ত পাখী নীড় খোজে”-
এই অটল বিশ্বাস তোমার দেহের ভাজে। তবু স্কন্ধকাঁটা অবিশ্বাসী ভূতটা
অন্ধ কোনায়, একই নাটক করে শতবার একই অভিনয় ।মনে হয়
মতস্য চোখে ক্লান্ত শরীরে শায়িত কঠিন শয্যা পরে।
আশাহীন ভাষাহারা মোমের পুতুল, দেহ জ্বেল্ব গুনিতেছো ভূলের মাশূল।
অনুতাপ বহ্নি শিখায় কোমল কায়, গলিয়া ঝরিছে সদা বরফ প্রায়।
বানীহারা কথা জানি হৃদয় বেলায়,গভীর কোন কলঙ্ক রেখারেখে যায়।
সময়ের পলি ভেবে প্রাজ্ঞের মত, মিথ্যা কোদাল চালাই অবিরত
ক্ষতের পরিধি শুধু বেড়েই যায়,অব্যক্ত সাধ বুঝি ভাষা হারায় ।
মাল, ১৬।৩।১৯৮৩
একেলা
নিরলিপ্ত প্রশান্তি মাঝারে অপারে যখন নিদ্রামগ্ন,
নীরবতার পশ্মী চাঁদরে ঢাকা সরবাঙ্গ আমার,
ঠিক তখনই সন্দেহের কালো মেঘে অস্ফুট ঝংকার
“ শূন্য দেবালয়ের মত, প্রান হীন দেহ নিয়ে
কি হবে উতসবে মেতে ? অশান্ত পিয়াসী মন,
অন্য-পারের সবুজ অরন্যে হারিয়ে গেছে কখন।“
ক্ষুব্ধ চিতে সজল নয়নে তুলিলাম পাল
কহিলাম, ‘ক্লান্ত ডানা অঞ্চল তলে
ণৈঃশব্দের গভীরে স্বপ্নের শিকড় বিছায়
যার নাম নিমগ্ন প্রেম ।” তবু চলিলাম
ফিরে আসার প্রত্যাশায়। দেখিলাম এপারে,
ছড়ানো উপল প্রান্তর, রক্ত-পিপাসু কৃ্তান্তের মত
ঘিরে আছে চতুরদিক, ঝরা রক্তেও সিক্ত হয় না
একখন্ড জমি, যেখানে নিরভার হয়ে দাঁড়াতে পারি।
বন্ধু! শূন্যতায় ঝুলে থাকা যায় না ।
দেহের ভার তাই মঙ্কে দিয়ে ,আমি রহিলাম একুলে দাঁড়িয়ে।
মাল, ৮।৩।১৯৮৩
নীরবতার পশ্মী চাঁদরে ঢাকা সরবাঙ্গ আমার,
ঠিক তখনই সন্দেহের কালো মেঘে অস্ফুট ঝংকার
“ শূন্য দেবালয়ের মত, প্রান হীন দেহ নিয়ে
কি হবে উতসবে মেতে ? অশান্ত পিয়াসী মন,
অন্য-পারের সবুজ অরন্যে হারিয়ে গেছে কখন।“
ক্ষুব্ধ চিতে সজল নয়নে তুলিলাম পাল
কহিলাম, ‘ক্লান্ত ডানা অঞ্চল তলে
ণৈঃশব্দের গভীরে স্বপ্নের শিকড় বিছায়
যার নাম নিমগ্ন প্রেম ।” তবু চলিলাম
ফিরে আসার প্রত্যাশায়। দেখিলাম এপারে,
ছড়ানো উপল প্রান্তর, রক্ত-পিপাসু কৃ্তান্তের মত
ঘিরে আছে চতুরদিক, ঝরা রক্তেও সিক্ত হয় না
একখন্ড জমি, যেখানে নিরভার হয়ে দাঁড়াতে পারি।
বন্ধু! শূন্যতায় ঝুলে থাকা যায় না ।
দেহের ভার তাই মঙ্কে দিয়ে ,আমি রহিলাম একুলে দাঁড়িয়ে।
মাল, ৮।৩।১৯৮৩
অপেক্ষা
মনে হয়
এখনও স্থানুর মত বহু যুগ রয়েছি দাঁড়িয়ে নিরবাক নিস্পন্ধ-
জল ভরা আঁখি দুটি মেলে সেই ত্রিবেনী কুলে ।
নেই যাওয়া আসার বিরহ মিলন,
শুধু হৃদয়ের ভাসা হয়ে অপলক চোখ,জেগে থাকে স্বাতীর মত।
রঙ্গিন মাছের মত সময়ের অ্যাকুরামে পরাম মমতায়
প্রতিক্ষার ডানা ঝাপটায়। ক্লান্ত আমি,নিবশ, অধীর,
আবাহনের শুভ লগন আর কত দূর- ওগো দরদী নিঠুর ?
প্রহর বিল্মীকের অন্তরালে দুষিত বাসনা যত, ডুবে গেছে একে একে;
মিনতি আমার, দেখার এ অহংকার,ঘন কেশ ডামে করো না অন্ধকার।
মাল বাজার, ৯/৩/১৯৮৩
এখনও স্থানুর মত বহু যুগ রয়েছি দাঁড়িয়ে নিরবাক নিস্পন্ধ-
জল ভরা আঁখি দুটি মেলে সেই ত্রিবেনী কুলে ।
নেই যাওয়া আসার বিরহ মিলন,
শুধু হৃদয়ের ভাসা হয়ে অপলক চোখ,জেগে থাকে স্বাতীর মত।
রঙ্গিন মাছের মত সময়ের অ্যাকুরামে পরাম মমতায়
প্রতিক্ষার ডানা ঝাপটায়। ক্লান্ত আমি,নিবশ, অধীর,
আবাহনের শুভ লগন আর কত দূর- ওগো দরদী নিঠুর ?
প্রহর বিল্মীকের অন্তরালে দুষিত বাসনা যত, ডুবে গেছে একে একে;
মিনতি আমার, দেখার এ অহংকার,ঘন কেশ ডামে করো না অন্ধকার।
মাল বাজার, ৯/৩/১৯৮৩
ফেরা
তুমি দেখেছো কি ফিরে যেতে নদী ধারা উতস মুখে ?
মেলিয়া শতদল, অ্ভিমানী কমল,আবার দিয়েছে মুখ ঢেকে ?
মাখিয়া পরাগ আবীর, অমৃত চয়নে অধীর,
চঞ্চল ভ্রমর কভু ,ফিরায়ে দিয়েছে মধু ফুল বুকে ?
যে বাঁশরীর সুরে সুরে উতলা ্পবন,
অভিসারী রাধিকার মন উচাটন,
কেমনে ফিরাবে তারে, বাঁধিবে গহন পূরে, যে মন হয় চুরি,আসে কি সে শত ডাকে?
শলাকাটি, ২৬/২/১৯৮২
মেলিয়া শতদল, অ্ভিমানী কমল,আবার দিয়েছে মুখ ঢেকে ?
মাখিয়া পরাগ আবীর, অমৃত চয়নে অধীর,
চঞ্চল ভ্রমর কভু ,ফিরায়ে দিয়েছে মধু ফুল বুকে ?
যে বাঁশরীর সুরে সুরে উতলা ্পবন,
অভিসারী রাধিকার মন উচাটন,
কেমনে ফিরাবে তারে, বাঁধিবে গহন পূরে, যে মন হয় চুরি,আসে কি সে শত ডাকে?
শলাকাটি, ২৬/২/১৯৮২
Thursday, May 13, 2010
চলো নতুন পথে
ভাল্লাগে না,
এই দিশাহীন এলো মেলো পথ চলা,
সুরে সুর মিলিয়ে তোতার কথা বলা।
সম্যে এলিয়ে দিয়ে তনু মন
জীবনে সাথ্রকতা খোঁজা অনুক্ষন।
বৈচিত্রহীন প্রাত্যহিকতার শিকলে
দাসত্বের জয়গান সাঁঝ সকালে।
অতীতের জাবর কাটা বীরত্বসহ
সুখের মীনার গড়া গুবরে মোহ।
আমি ক্লান্ত ,বড় অবসন্ন, নিয়ন জ্বলা এই অসহায় দৈন্য।
চলো, অন্য কোন পথের সন্ধানে,কল্পনার কোন মূক্ত বাতায়নে;
এসো, অন্য কিছু বলি প্রান খুলে,আলো আর বাতাস আসুক দুলে।
ফকিরাগ্রাম ৮/২/১৯৮২
এই দিশাহীন এলো মেলো পথ চলা,
সুরে সুর মিলিয়ে তোতার কথা বলা।
সম্যে এলিয়ে দিয়ে তনু মন
জীবনে সাথ্রকতা খোঁজা অনুক্ষন।
বৈচিত্রহীন প্রাত্যহিকতার শিকলে
দাসত্বের জয়গান সাঁঝ সকালে।
অতীতের জাবর কাটা বীরত্বসহ
সুখের মীনার গড়া গুবরে মোহ।
আমি ক্লান্ত ,বড় অবসন্ন, নিয়ন জ্বলা এই অসহায় দৈন্য।
চলো, অন্য কোন পথের সন্ধানে,কল্পনার কোন মূক্ত বাতায়নে;
এসো, অন্য কিছু বলি প্রান খুলে,আলো আর বাতাস আসুক দুলে।
ফকিরাগ্রাম ৮/২/১৯৮২
শব্দ
সুললিত ছন্দ নয়, নয় কোন টাইফুন গতি,
হাজার কোলাহলে খুঁজি কিছু কুমারী শব্দ,
যীশুর প্রতীক্ষায় যে নক্ষত্র গোনে,নিদ হারা চোখে।
নিষিদ্ধ পল্লীর সব অথরব দৌপদীর মত শব্দ,
সংখ্যাতীত মত্ত রজনীর অত্যাচার নীরবে
সরবাঙ্গে মেখে এখন ঘুমিয়ে আছে
বন্দী হয়ে রঙ্গীন জ্যাকেটে।
অনেক বসন্ত গেছে ফিরে,তবু শীতের চাঁদরে স্বপ্ন-বুনি
বরনালী আগামী কাল।
যবে শব্দ মোরে নিয়ে যাবে মৌন সকাল ।
ফকিরাগ্রাম, ৮/২/১৯৮২
হাজার কোলাহলে খুঁজি কিছু কুমারী শব্দ,
যীশুর প্রতীক্ষায় যে নক্ষত্র গোনে,নিদ হারা চোখে।
নিষিদ্ধ পল্লীর সব অথরব দৌপদীর মত শব্দ,
সংখ্যাতীত মত্ত রজনীর অত্যাচার নীরবে
সরবাঙ্গে মেখে এখন ঘুমিয়ে আছে
বন্দী হয়ে রঙ্গীন জ্যাকেটে।
অনেক বসন্ত গেছে ফিরে,তবু শীতের চাঁদরে স্বপ্ন-বুনি
বরনালী আগামী কাল।
যবে শব্দ মোরে নিয়ে যাবে মৌন সকাল ।
ফকিরাগ্রাম, ৮/২/১৯৮২
ভাবনা
আমায় ভাবতে দাও,
এই আগাছার অন্ধ ঝোপে,আমি বেচে আছি সুরয্যমূখী হয়ে।
কৃপন মহীরূহ কুক্ষিগত করেছে সব জীবন রসদ-
আলো বাতাস-–স্বেচ্ছাচারী বনিকের মত; তবু
মাটির বুকে খুঁজি প্রানের উষ্ণতা।
বড় কষ্ট তবু “ বেঁচে আছি”
এই প্রত্যয়ে দিন রংধনূ হয়।
বিস্বাসী হতে দাও, আঁধো দেখা তৃ্তীয়া চাঁদের তরে রিকেটি
যে হাত শুন্যতায় কেঁটেছে সাঁতার,
সে চাঁদ কাস্তে হয়ে ,লক্ষী বঁ্ধূর মত শোভিছে অঙ্গনে মোর।
বঞ্চনার যে কোরাসে, কাঁপে ঘূনধরা দুঃশাসনের পুরানো প্রাসাদ,
আমার বুক ভরা দীরঘ শ্বাস,সেথা পেয়েছে আশ্রয়।
ফকিরাগ্রাম, ৪/২/১৯৮২
এই আগাছার অন্ধ ঝোপে,আমি বেচে আছি সুরয্যমূখী হয়ে।
কৃপন মহীরূহ কুক্ষিগত করেছে সব জীবন রসদ-
আলো বাতাস-–স্বেচ্ছাচারী বনিকের মত; তবু
মাটির বুকে খুঁজি প্রানের উষ্ণতা।
বড় কষ্ট তবু “ বেঁচে আছি”
এই প্রত্যয়ে দিন রংধনূ হয়।
বিস্বাসী হতে দাও, আঁধো দেখা তৃ্তীয়া চাঁদের তরে রিকেটি
যে হাত শুন্যতায় কেঁটেছে সাঁতার,
সে চাঁদ কাস্তে হয়ে ,লক্ষী বঁ্ধূর মত শোভিছে অঙ্গনে মোর।
বঞ্চনার যে কোরাসে, কাঁপে ঘূনধরা দুঃশাসনের পুরানো প্রাসাদ,
আমার বুক ভরা দীরঘ শ্বাস,সেথা পেয়েছে আশ্রয়।
ফকিরাগ্রাম, ৪/২/১৯৮২
Tuesday, May 11, 2010
প্রত্যয়
আমায় ভাবতে দাও
এই আগাছার অন্ধঝোঁপে, আমি বেঁচে আছি সূরয্যমুখী হয়ে।
কৃপন মহীরুহ কুক্ষিগত করেছে, সব জীবন রসদ-আলো,বাতাস-
স্বেচ্ছাচারী বনিকের মত; তবু ভেঁজা মাটির বুকে খুঁজি
প্রানের উষ্ণতা। বড়ো কষট তবু “বেঁচে আছি”
এই প্রত্যয়ে দিন রঙ ধনু হয়।
বিশ্বাসী হতে দাও, আঁধো দেখা তৃ্তীয়া চাঁদের তরে,
রিকেটী যে হাত শুন্যতায় কেঁটেছে সাঁতার ,
সে চাঁদ কাস্তে হয়ে ,লক্ষী বঁ্ধুর মত শোভিছে অঙ্গনে মোর।
বঞ্চনার যে কোরাসে, কাঁপে ঘূণধরা দুঃশাসনের পুরানো প্রাসাদ,
আমার বুক ভরা দীরঘশ্বাস সেথা পেয়েছে আশ্রয়।
শলাকাঠি ৪/২/১৯৮২
এই আগাছার অন্ধঝোঁপে, আমি বেঁচে আছি সূরয্যমুখী হয়ে।
কৃপন মহীরুহ কুক্ষিগত করেছে, সব জীবন রসদ-আলো,বাতাস-
স্বেচ্ছাচারী বনিকের মত; তবু ভেঁজা মাটির বুকে খুঁজি
প্রানের উষ্ণতা। বড়ো কষট তবু “বেঁচে আছি”
এই প্রত্যয়ে দিন রঙ ধনু হয়।
বিশ্বাসী হতে দাও, আঁধো দেখা তৃ্তীয়া চাঁদের তরে,
রিকেটী যে হাত শুন্যতায় কেঁটেছে সাঁতার ,
সে চাঁদ কাস্তে হয়ে ,লক্ষী বঁ্ধুর মত শোভিছে অঙ্গনে মোর।
বঞ্চনার যে কোরাসে, কাঁপে ঘূণধরা দুঃশাসনের পুরানো প্রাসাদ,
আমার বুক ভরা দীরঘশ্বাস সেথা পেয়েছে আশ্রয়।
শলাকাঠি ৪/২/১৯৮২
উগ্র কস্মেটিকে ঢাকা গলিত শরীর,
বিষাক্ত ভাইরাসের চারনভুমি;
অন্ধকারে জোনাক জ্বলা ভালবাসার গিল্টি করা লকেট ঝোলে,
ন্যাপাম ক্ষত টিলা ঘিরে।
অথবা ভালবাসার রঙ্গিন মোড়কে বাধা আজব জলন্ধরী শাল,
রথে কেনা পুতুল শিশুর?
ধীবরের ঝাঁকা-রাখা নকল রক্তমাখা বাসি মাছের মত
ভালবাসা বিকাতে চাও চড়া দামে?
ওকে ঢেকে রাখো হৃদয় গুহায়,ফুটতে দাও ঋতু পরিক্রমায়,
পবিত্র সুবাসে পাগল কস্তুরী মৃগসম-
তারপর শ্যাম ব্যাঁধের বন্দীত্বে সুখের মরন।
ফালাকাটা ৩/২/১৯৮২
বিষাক্ত ভাইরাসের চারনভুমি;
অন্ধকারে জোনাক জ্বলা ভালবাসার গিল্টি করা লকেট ঝোলে,
ন্যাপাম ক্ষত টিলা ঘিরে।
অথবা ভালবাসার রঙ্গিন মোড়কে বাধা আজব জলন্ধরী শাল,
রথে কেনা পুতুল শিশুর?
ধীবরের ঝাঁকা-রাখা নকল রক্তমাখা বাসি মাছের মত
ভালবাসা বিকাতে চাও চড়া দামে?
ওকে ঢেকে রাখো হৃদয় গুহায়,ফুটতে দাও ঋতু পরিক্রমায়,
পবিত্র সুবাসে পাগল কস্তুরী মৃগসম-
তারপর শ্যাম ব্যাঁধের বন্দীত্বে সুখের মরন।
ফালাকাটা ৩/২/১৯৮২
প্রেম
তপ্ত প্রেম নীরে, আজি যমুনা তীরে,যৌবন ঝড়ের মাতন।
শুষক ফুল দলে শিহরে পুলকে অধীরা খুশির নাচন ।
বিহগী চাতকী শুক্তি, বরষে হরষে মুক্তি,
হৃদয় গুহায় প্রেমের পরশে জাগিছে আনন্দ কাঁপন ।
রঙ ধনু শাড়ী আকাশের গায়, জ়োছনা অমিয় ফল্গু ধারায়
মাতাল বাতাস সুরে, অসীম দিগন্ত পুরে,
প্রেমের ঢল উথাল পাতাল, এসেছে মিলন লগন।
আলিপুদুয়ার,২৪।৪।১৯৮৩
শুষক ফুল দলে শিহরে পুলকে অধীরা খুশির নাচন ।
বিহগী চাতকী শুক্তি, বরষে হরষে মুক্তি,
হৃদয় গুহায় প্রেমের পরশে জাগিছে আনন্দ কাঁপন ।
রঙ ধনু শাড়ী আকাশের গায়, জ়োছনা অমিয় ফল্গু ধারায়
মাতাল বাতাস সুরে, অসীম দিগন্ত পুরে,
প্রেমের ঢল উথাল পাতাল, এসেছে মিলন লগন।
আলিপুদুয়ার,২৪।৪।১৯৮৩
অকরুন
(ওগো) অকরুন অকারন অভিমানে, দেখা দিয়ে গেলে সরে।
আশার মুকুল না ফুটিতে হায়, ডুবিলে নীরব আঁধারে।
(তব) চরন ধুলার পরাগ মাখিয়া, স্মৃতির বাসরে একেলা জাগিয়া,
ক্লান্ত নয়নে বিরহী পরান ,কাঁদিছে আকুল সুরে।
কন্ঠ-মালার স্বপ্ন আমার, ভাঙ্গিল উতলা ঝড়ে,
মেঘ মিনারে আঞ্জন তীরে, মিছে খুজি আজ বঁধূ্রে,
শুধু একবার বলে যাও প্রিয়া, কোন দোষে হায় রেখেছো ফেলিয়া
শূ্ন্য মরুর দহন জ্বালা মোর, সজেস হবে কোন ভোরে।
আশার মুকুল না ফুটিতে হায়, ডুবিলে নীরব আঁধারে।
(তব) চরন ধুলার পরাগ মাখিয়া, স্মৃতির বাসরে একেলা জাগিয়া,
ক্লান্ত নয়নে বিরহী পরান ,কাঁদিছে আকুল সুরে।
কন্ঠ-মালার স্বপ্ন আমার, ভাঙ্গিল উতলা ঝড়ে,
মেঘ মিনারে আঞ্জন তীরে, মিছে খুজি আজ বঁধূ্রে,
শুধু একবার বলে যাও প্রিয়া, কোন দোষে হায় রেখেছো ফেলিয়া
শূ্ন্য মরুর দহন জ্বালা মোর, সজেস হবে কোন ভোরে।
গান
আজ দখিন সমীরনে কার বারতা কে জানে।
গোবীর গভীর মন বনে খুশীর মাতন সঙ্গোপনে।
অনুরাগ ফুল রথে, প্রেম উঞ্জন আঁখিপাতে,
সুধা সুরভী অঙ্গে মাখিয়া আসিবে বঁধূ বিজনে।
অঙ্গনে তাই ফুল পাপিয়া, মিলন মধুর সুরে,
গেয়ে ওঠে গান, চম্পা যূথি,মালতীর হাসি ঝরে।
উদাস আকাশ আজি, নব রুপে ওঠে সাজি
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে নিশিথিনী শত যতনে।
গোবীর গভীর মন বনে খুশীর মাতন সঙ্গোপনে।
অনুরাগ ফুল রথে, প্রেম উঞ্জন আঁখিপাতে,
সুধা সুরভী অঙ্গে মাখিয়া আসিবে বঁধূ বিজনে।
অঙ্গনে তাই ফুল পাপিয়া, মিলন মধুর সুরে,
গেয়ে ওঠে গান, চম্পা যূথি,মালতীর হাসি ঝরে।
উদাস আকাশ আজি, নব রুপে ওঠে সাজি
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখে নিশিথিনী শত যতনে।
জান
এক খানা কাজল ভরা কালো মেঘে, না বলা মনের কথা।
ভাসিয়ে দিলাম উত্তরা বায়ে, স্বপ্ন- ফুল হারে গাঁথা ।
তারাঘেরা নীলাকাশে একেলা,
অনুরাগে ভেসে ভেসে সারাবেলা,
সাথী হারা নিশি জাগা আঁখিপাতে,ঝরাবে হৃদয় ব্যথা।
বিরহ আজুনে পুড়ে চাঁপা মুকুল
না-ফুটে ঝরে পড়া মনের আকুল
শূ্ন্য বাসর ঘরে গোপনে , ভ্রমর গুঞ্জনে কানে কানে
ঢালিবে তপ্ত অশ্রু অঝোর ধারায়, ভাঙ্গিবে নিঠুর নীরবতা ।
ভাসিয়ে দিলাম উত্তরা বায়ে, স্বপ্ন- ফুল হারে গাঁথা ।
তারাঘেরা নীলাকাশে একেলা,
অনুরাগে ভেসে ভেসে সারাবেলা,
সাথী হারা নিশি জাগা আঁখিপাতে,ঝরাবে হৃদয় ব্যথা।
বিরহ আজুনে পুড়ে চাঁপা মুকুল
না-ফুটে ঝরে পড়া মনের আকুল
শূ্ন্য বাসর ঘরে গোপনে , ভ্রমর গুঞ্জনে কানে কানে
ঢালিবে তপ্ত অশ্রু অঝোর ধারায়, ভাঙ্গিবে নিঠুর নীরবতা ।
Monday, May 10, 2010
চোখের কপাট বন্ধ করে, খোঁজ দেখি মন আপনারে।
চিনে নে তোর প্রিয়জনে, অজানা যে অনাদরে।
মোহ কাজল ভক্তি নীরে, ধূ্যে কেল রে চিরতরে,
শ্যামল-কিশোর যমুনা তীরে,দাঁড়ি্যে আছে বংশী করে।
হৃদি বৃন্দাবনের কুঞ্জে কুঞ্জে ,প্রণব ধ্বনি সতত গুঞ্জে,
মধুর হাসিতে সকল আঁধার মুছে গেছে, আলো আসিছে আবার,
পিয়াসী-ভ্রমর মন আমার,অমিয় পান করে।
চিনে নে তোর প্রিয়জনে, অজানা যে অনাদরে।
মোহ কাজল ভক্তি নীরে, ধূ্যে কেল রে চিরতরে,
শ্যামল-কিশোর যমুনা তীরে,দাঁড়ি্যে আছে বংশী করে।
হৃদি বৃন্দাবনের কুঞ্জে কুঞ্জে ,প্রণব ধ্বনি সতত গুঞ্জে,
মধুর হাসিতে সকল আঁধার মুছে গেছে, আলো আসিছে আবার,
পিয়াসী-ভ্রমর মন আমার,অমিয় পান করে।
(মনরে)মিছেই গড়িস আশার আগার।
এ রম্যভুমি দেহ জমি পঞ্চভূতের শূ্ন্য ভাগাড়।
মহামায়া রঙ্গ ভরে, বাসনা বাগান করে,
ভ্রান্তি দোরে পঙ্গু করে রেখেছে বেঁধে নিরন্তর।
কত রঙ বেরঙ্গের মুখোস পরে,অভিনয়ে মুগ্ধ করে
পঙ্ক নীরে রেখেছে তোর,
আপন ভেবে আপনারে,ডুব দে মন আজ্ঞাপুরে,
কুলকুনডলীনির জাগ্রত দ্বারে,হৃদি বৃন্দাবনে বসতি গড়।
শূ্ন্য মাঝে নিরালম্ব, ধূলোমাখা মিথ্যা স্থম্ভ
শক্ত হাতে ফেলরে ভেঙ্গে ,জ্বালিয়ে দে জ্ঞানের আলো,
স্বারথ-মোহের অন্ধকার ,ভয়ে নিমেশে পালিয়ে গেলো
এবার নিরাসক্ত বরম পরে, হওরে সংসার পার।
এ রম্যভুমি দেহ জমি পঞ্চভূতের শূ্ন্য ভাগাড়।
মহামায়া রঙ্গ ভরে, বাসনা বাগান করে,
ভ্রান্তি দোরে পঙ্গু করে রেখেছে বেঁধে নিরন্তর।
কত রঙ বেরঙ্গের মুখোস পরে,অভিনয়ে মুগ্ধ করে
পঙ্ক নীরে রেখেছে তোর,
আপন ভেবে আপনারে,ডুব দে মন আজ্ঞাপুরে,
কুলকুনডলীনির জাগ্রত দ্বারে,হৃদি বৃন্দাবনে বসতি গড়।
শূ্ন্য মাঝে নিরালম্ব, ধূলোমাখা মিথ্যা স্থম্ভ
শক্ত হাতে ফেলরে ভেঙ্গে ,জ্বালিয়ে দে জ্ঞানের আলো,
স্বারথ-মোহের অন্ধকার ,ভয়ে নিমেশে পালিয়ে গেলো
এবার নিরাসক্ত বরম পরে, হওরে সংসার পার।
আবেদন
বন্ধু যদি না হও সখা শত্রু হয়েই থেকো।
কন্ঠ-মালা নাই বা হলাম চরন তলে রেখো।
করুনা-তিলক আমার ভালে, স্নেহের পরশে নাই পরালে
(তমার) চলার পথের ধূলিকণায় সোহাগ রেনু মেখো।
বাঁশরীর সুর বাতাসের কানে,হাসির ঝিলিক নীল গগনে
মোর বাতায়নে নিদাঘ দিনে, ক্লান্ত আবেশে তৃষি্ত নয়নে
শুধু একবার আসিও বন্ধু বলেই ডেকো।
কন্ঠ-মালা নাই বা হলাম চরন তলে রেখো।
করুনা-তিলক আমার ভালে, স্নেহের পরশে নাই পরালে
(তমার) চলার পথের ধূলিকণায় সোহাগ রেনু মেখো।
বাঁশরীর সুর বাতাসের কানে,হাসির ঝিলিক নীল গগনে
মোর বাতায়নে নিদাঘ দিনে, ক্লান্ত আবেশে তৃষি্ত নয়নে
শুধু একবার আসিও বন্ধু বলেই ডেকো।
Sunday, May 9, 2010
নিজের সাথে গোপনে
হে বন্ধু পরান প্রিয় চির শান্তি পারাবার।
দুঃখ তিমির রাতে হোক তব অভিসার ,
করুনা ঘন নয়নে, বিজুলি হাসি আননে,
মোহ আন্ধার কারায় বাজাও বাশরী এবার।
তব পথ আশে ক্লান্ত বেলা শেষে,
রয়েচি বসে হরষ আবেশে,
দেখা দাও হে প্রিয়ত্ম,ত্রিতাফারী নব শ্যাম,
পুরাও মম মনঙ্কাম ব্যাথাহারী জলধর।
• * ****
কেন মমতা শিশিরে আবার বাঁধিতে চাহো।
অনাদরে ঝরে পড়া শুকনো পাতার দেহ ।
নিথুর আঘাতে যারে, কঁাদায়েছো বারে বারে,
হাজার দহন বিষে যে পুড়িত অহরহ ।
না বলা ক্তহা যত বাতাসের কানে,
গাহিতে দাও প্রিয়া বিদায় লগনে,
জলহারা ভালবাসায়,অন্ধমোহে,মিছে আশায়,
ধরার ধুলিতে তারে,একেলা ঘুমাতে দিও।
দুঃখ তিমির রাতে হোক তব অভিসার ,
করুনা ঘন নয়নে, বিজুলি হাসি আননে,
মোহ আন্ধার কারায় বাজাও বাশরী এবার।
তব পথ আশে ক্লান্ত বেলা শেষে,
রয়েচি বসে হরষ আবেশে,
দেখা দাও হে প্রিয়ত্ম,ত্রিতাফারী নব শ্যাম,
পুরাও মম মনঙ্কাম ব্যাথাহারী জলধর।
• * ****
কেন মমতা শিশিরে আবার বাঁধিতে চাহো।
অনাদরে ঝরে পড়া শুকনো পাতার দেহ ।
নিথুর আঘাতে যারে, কঁাদায়েছো বারে বারে,
হাজার দহন বিষে যে পুড়িত অহরহ ।
না বলা ক্তহা যত বাতাসের কানে,
গাহিতে দাও প্রিয়া বিদায় লগনে,
জলহারা ভালবাসায়,অন্ধমোহে,মিছে আশায়,
ধরার ধুলিতে তারে,একেলা ঘুমাতে দিও।
Saturday, May 8, 2010
love
আন কথায় সই দিসনে কান,জানিস জাহা আপন বলে;
বুনো ফুলের স্বপন মালা,পরিয়ে দেরে তাহার গলে।
মনের যত রঙ মিশিয়ে বসন তাহার দে ছুপিয়ে
নিজেরে পুজার অঘ্র বলে সাজিয়ে রাখ (তার) চরন তলে।
ইচ্ছা সুখের সাগর জলে ভাসিয়ে তরী উতলা ্বায়
চল ছুটে চল বিভোল মাতাল,গান গেয়ে তার আঙ্গিনায় ;
কোন সকালে দুয়ার খুলে বসে আছে সে নয়ন মেলে
ভালবাসার রাঙ্গা সিন্দুর পরাও তাহার চান্দ কপালে।
আলিপুদুয়ার ৭/৫/১৯৮৩
বুনো ফুলের স্বপন মালা,পরিয়ে দেরে তাহার গলে।
মনের যত রঙ মিশিয়ে বসন তাহার দে ছুপিয়ে
নিজেরে পুজার অঘ্র বলে সাজিয়ে রাখ (তার) চরন তলে।
ইচ্ছা সুখের সাগর জলে ভাসিয়ে তরী উতলা ্বায়
চল ছুটে চল বিভোল মাতাল,গান গেয়ে তার আঙ্গিনায় ;
কোন সকালে দুয়ার খুলে বসে আছে সে নয়ন মেলে
ভালবাসার রাঙ্গা সিন্দুর পরাও তাহার চান্দ কপালে।
আলিপুদুয়ার ৭/৫/১৯৮৩
আমার যত খেলা সারা বেলা,শুধু সমুখে রাখিয়া নিজেরে।
স্নেহ মমতায় গড়িয়া তায়,ভাঙ্গি আবার অবহেলা ভরে ।
শত্রু হয়ে রক্ত ঝরাই ,নিঠুর কঠোর হাতে,
মিত্র হোয়ে মুছিয়ে দিই,ব্যথিত বেদন চিতে,
প্রিয়া হয়ে মন তুষি যবে,বধুয়া মোরে যেতে চায় ছেড়ে।
চপলা খেয়ালে মনের কাজলে স্বপ্নের তুলিকা ভরায়ে,
দিবানিশি হায় রাঙ্গের খেলায় সব ভুলে রই মাতাল হয়ে,
বারন করার নেই তো কেহ(আমার) এই যে খেলার কঠিন মোহ,
জীবনে জাগায় প্রানের সাড়া,পথ দেখায় ঘোর অন্ধকারে।
আলিপুরদুয়ার ৬/৫/১৯৮৩
স্নেহ মমতায় গড়িয়া তায়,ভাঙ্গি আবার অবহেলা ভরে ।
শত্রু হয়ে রক্ত ঝরাই ,নিঠুর কঠোর হাতে,
মিত্র হোয়ে মুছিয়ে দিই,ব্যথিত বেদন চিতে,
প্রিয়া হয়ে মন তুষি যবে,বধুয়া মোরে যেতে চায় ছেড়ে।
চপলা খেয়ালে মনের কাজলে স্বপ্নের তুলিকা ভরায়ে,
দিবানিশি হায় রাঙ্গের খেলায় সব ভুলে রই মাতাল হয়ে,
বারন করার নেই তো কেহ(আমার) এই যে খেলার কঠিন মোহ,
জীবনে জাগায় প্রানের সাড়া,পথ দেখায় ঘোর অন্ধকারে।
আলিপুরদুয়ার ৬/৫/১৯৮৩
possibilities
Self quest amidst another,
Alike reflecting glass;
Love personifies deeply,
Thy mystery conscious
Failure to run the creation of fine creative mind,
Touches bloomy sensitive strings, like southern wind.
Zygot picturize emotion sleeps in pacific timidity.
Unto love spells magical strength, in artistic creativity.
It’s a courageous surpass and over steps , all known boundary,
Enable a heartiest breathe, in air of solitary,
Love discovers one’s existence, mirror the universe
Dragged to eternal destiny, one’s ever auspicious.
Salakati 5/3/1982
quest
Alike reflecting glass;
Love personifies deeply,
Thy mystery conscious
Failure to run the creation of fine creative mind,
Touches bloomy sensitive strings, like southern wind.
Zygot picturize emotion sleeps in pacific timidity.
Unto love spells magical strength, in artistic creativity.
It’s a courageous surpass and over steps , all known boundary,
Enable a heartiest breathe, in air of solitary,
Love discovers one’s existence, mirror the universe
Dragged to eternal destiny, one’s ever auspicious.
Salakati 5/3/1982
quest
Tuesday, May 4, 2010
duniya
আজব দুনিয়া । ঠিক মত খেলতে না পারলে শুধু পিছণে নয় ,একেবারে বাতিলের খাতায় নাম লিখাতে হবে ।
সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যসত্ । অন্যের কথা ভাববার অবসর কোথায় ? অথচ একই ছাদের তলায় বাস করে
সকলে আলাদা দবীপের অধিবাসী ।এমন জীবন কারো কাম্য হতে পারে না । অথচ অন্য উপায় থাকা সত্তে
কমন বেয়াকুফের মত সব হজম করছি, ভাবলেও ঘৃণা হয় নিজের উপর ।
সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যসত্ । অন্যের কথা ভাববার অবসর কোথায় ? অথচ একই ছাদের তলায় বাস করে
সকলে আলাদা দবীপের অধিবাসী ।এমন জীবন কারো কাম্য হতে পারে না । অথচ অন্য উপায় থাকা সত্তে
কমন বেয়াকুফের মত সব হজম করছি, ভাবলেও ঘৃণা হয় নিজের উপর ।
Subscribe to:
Posts (Atom)