শব্দের সাথে আমার চিরন্তন বিরোধ,
বন্ধ্যা বোবা আক্রোশে শুধু রক্তাক্ত হই ।কল্পনার রঙ্গে ছোপানো নামে
গৌর পটলের শূন্যতা, কৃ্ত্তিমতায় ভরা। চেনা শুনা শব্দগুলো অপরিচয়ের
কাপড় ঢেকে দ্রুত পায়ে সরে সরে যায় ।আকাশ পৃ্থিবী ভালবাসা
সব কুয়াশা মাখা।এতদিন যাদের নিয়ে মত্ত ছিনু উদ্দাম খেলায়,
আজি হায় ! মৃত শিলার মত পথের পাশে মুখ বুজে রয়,সাড়া নাহি দেয়।
নিঝুম শশ্মান থেকে বিহ্বল এলোকেশে উঠে এসে মলিন হেসে সমুখে দাঁড়ালে তুমি।
হারানো মধুর সুরে চেনা গলায় দেকে উঠি “মা” তুমি ! সব রঙে
সাজানো যাইয় তোমায় , নারী কন্যা ,প্রেয়সী,ভারয্যা-মা,
নিশ্বে তুমি অনিন্দ্য সুন্দর নিরুপমা।পূরনতার প্রতিমা হেরি সবাকার মাঝে।
কীট,পাখী,বৃক্ষলতা আকাশ নদী পাহাড় আর জীবনের প্রতিটি অনূ,
তোমার মুখের ছবি, যেন সৃষ্টির বেদনা-আনন্দ মেখে ঘুমিয়ে আছে।
আমার সরবাঙ্গ ঘিরে তোমার অচ্ছেদ্দ্য অদৃশ্য অস্তিত্ব,বিশৃঙখ্ল জীবনের
উতকট কোলাহলে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
মানসী প্রীয়া আমার, “ম” সেজে এসো আরবার।শব্দের শৃঙখল খুলে
চির চেনা রূপে হৃদয়ে বসো তুমে মমতাময়ী;
স্নেহে প্রেমের ক্রুনাধারায় নিত্য স্নান করাও আমায়।
মাল। ২৮/৩/১৯৮৩
Saturday, May 22, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment